নেত্রীর (শেখ হাসিনা) জন্য জান দেওয়া নয়, বরং তাঁর সিদ্ধান্ত মানার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “মুখে মুখে আমরা নেত্রীর জন্য ‘জানও দিয়ে দেব’ বলে থাকি। কিন্তু নেত্রী দলের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন, তা অনেক সময় মানি না। নেত্রীর তথা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নিজেদের মতো চলবেন, এটা তো হওয়া উচিত না।
আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘১/১১ এ কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর জমা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে হোক বা তৃণমূল, কেউ জান দিয়ে দেবে এটা নেত্রী চান না। বরং তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটা মানি কি না, তা দেখতে হবে। বিচার মানি, তালগাছ আমার―এমন মনোভাব থাকলে তো নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।
তা ছাড়া নেত্রী তো কারো ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবার মতামতের ভিত্তিতে দলীয় সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানব, না হয় দল করব না।
এই স্বাধীনতা আপনার আছে।’আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী পরিবারে যত সংগঠন আছে তাদের সবার মধ্যে একা, আদর্শের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি। কারণ এই রাজনৈতিক দলের যত অর্জন আছে তা নস্যাৎ করার জন্য অপশক্তি আজো বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে এখনো তারা সক্রিয়। দলীয় আনুগত্য না থাকলে এই অপশক্তি আবারও যেকোনো সময় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, “২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জনতার চাপে ২০০৮ সালের ১১ জুন বাধ্য হয়েই তাঁকে মুক্তি দিতে হয়েছে। এই মুক্তিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে দলের নেতারা সারা দেশকে জানিয়ে দিয়েছিল ‘নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন’।”
আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিম। সাবেক ছাত্রনেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় এই আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ অন্য নেতারা।