ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওর, বাওর,বিল,ঝিল ও ডোবা ‘র মধ্যে পার্থক্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৭
  • ৪৬৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদুপানির জলাশয়কে বিল বলা হয়। বিল মূলত নিম্নভূমি যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়। শুকনোর মৌসুমে অধিকাংশ বিলে কোন পানি থাকে না। তখন সেই এলাকা চাষাবাদ ও গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটু বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এসব নিম্নভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত বিলের গভীরতা বেশি হয় না। বেশিরভাগ বিলই জলাভূমির মত। তবে বড় বড় বিলের গভীরতা অনেক বেশি এবং প্রায় সারা বছর এসব বিলের কোথাও না কোথাও পানি থাকে। বিল কোন কোন ক্ষেত্রে বাঁওরের সমার্থক, যদিও দু’টির মধ্য অল্পবিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। ঝিল সম্ভবত সেই রকম বিল যেখানে সারা বছরই পানি থাকবে। আমি ঠিক পুরোপুরি শিউর নই। হাওর মূলত বিস্তৃত প্রান্তর, অনেকটা গামলা আকৃতির জলাভূমি যা প্রতিবছর মৌসুমী বৃষ্টির সময় পানিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সমগ্র বর্ষাকাল জুড়ে হাওরের পানিকে সাগর বলে মনে হয় এবং এর মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলোকে দ্বীপ বলে প্রতীয়মান হয়। বছরের সাত মাস হাওরগুলো পানির নিচে অবস্থান করে। শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ পানি শুকিয়ে গিয়ে সেই স্থানে সরু খাল রেখে যায় এবং শুষ্ক মৌসুমের শেষের দিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পুরো প্রান্তর জুড়ে ঘাস গজায়, গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠে। হাওরে আগত পানি প্রচুর পলিমাটি ফেলে যায় যা ধান উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাওর আগেই বলেছি। বিলের সমার্থক। সম্ভবত আকারে বড় অর্থাৎ কিছুটা হাওরের মত বড়। তাই হাওরের সাথে বাওর বলা হয়। ডোবা সম্ভবত অপরিষ্কার পুকুর (পুকুর–ছোট জলাশয় যাতে পানি স্থির থাকে/ মানুষ সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুইটাই হতে পারে) বোঝায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওর, বাওর,বিল,ঝিল ও ডোবা ‘র মধ্যে পার্থক্য

আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদুপানির জলাশয়কে বিল বলা হয়। বিল মূলত নিম্নভূমি যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়। শুকনোর মৌসুমে অধিকাংশ বিলে কোন পানি থাকে না। তখন সেই এলাকা চাষাবাদ ও গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটু বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এসব নিম্নভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত বিলের গভীরতা বেশি হয় না। বেশিরভাগ বিলই জলাভূমির মত। তবে বড় বড় বিলের গভীরতা অনেক বেশি এবং প্রায় সারা বছর এসব বিলের কোথাও না কোথাও পানি থাকে। বিল কোন কোন ক্ষেত্রে বাঁওরের সমার্থক, যদিও দু’টির মধ্য অল্পবিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। ঝিল সম্ভবত সেই রকম বিল যেখানে সারা বছরই পানি থাকবে। আমি ঠিক পুরোপুরি শিউর নই। হাওর মূলত বিস্তৃত প্রান্তর, অনেকটা গামলা আকৃতির জলাভূমি যা প্রতিবছর মৌসুমী বৃষ্টির সময় পানিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সমগ্র বর্ষাকাল জুড়ে হাওরের পানিকে সাগর বলে মনে হয় এবং এর মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলোকে দ্বীপ বলে প্রতীয়মান হয়। বছরের সাত মাস হাওরগুলো পানির নিচে অবস্থান করে। শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ পানি শুকিয়ে গিয়ে সেই স্থানে সরু খাল রেখে যায় এবং শুষ্ক মৌসুমের শেষের দিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পুরো প্রান্তর জুড়ে ঘাস গজায়, গবাদি পশুর বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠে। হাওরে আগত পানি প্রচুর পলিমাটি ফেলে যায় যা ধান উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাওর আগেই বলেছি। বিলের সমার্থক। সম্ভবত আকারে বড় অর্থাৎ কিছুটা হাওরের মত বড়। তাই হাওরের সাথে বাওর বলা হয়। ডোবা সম্ভবত অপরিষ্কার পুকুর (পুকুর–ছোট জলাশয় যাতে পানি স্থির থাকে/ মানুষ সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুইটাই হতে পারে) বোঝায়।