কমিটির নেতৃত্বে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
এনসিটিবির শিক্ষাক্রম সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, দুই ধাপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মূল্যায়নে সমতা রাখতে ওয়েটেজ (গড় গুরুত্ব) পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, কার্যক্রমভিত্তিক ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়বস্তু কী হবে এবং কিভাবে পরীক্ষা নিতে হবে, তা পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুধু এসএসসি নয়, অন্যান্য শ্রেণিতেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে পরিবর্তন আসবে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে এক দিনে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে অ্যাসেসমেন্ট টুল (মূল্যায়ন পদ্ধতি) দেওয়া হতো। সেটি অনুসরণ করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনব্যাপী অ্যাসেসমেন্ট (মূল্যায়ন) কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে ধারণা দেওয়া হতো।
দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত তাদের রুটিন অনুযায়ী কার্যক্রমভিত্তিক কাজ দেওয়া হতো। সর্বশেষ পঞ্চম দিনে তাদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হতো। এখন থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে মূল্যায়ন টুলস না দিয়ে পরীক্ষার দিন সরাসরি বিদ্যালয়গুলোতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সকালে শিক্ষকরা তা দেখতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী সেদিনই চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে হবে। ফলে আগে শিক্ষার্থীরা ইউটিউব বা অনলাইন থেকে দেখে দেখে যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিত, সেই সুযোগ আর থাকছে না।