জাকির হোসাইন: ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার নবনির্মিত ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ সেতু উদ্ভোধন ও পরিদর্শন করতে গিয়ে ছিলেন হাওরঞ্চলে।
হাওরঞ্চলে গিয়ে ভাটি শার্দূল দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার নবনির্মিত ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ সেতু উদ্ভোধন শেষে পরিদর্শন করতে যান।
তখন বলে ছিলেন ”বঙ্গভবনে বেড়া দিয়ে আপনাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে, আমাকেও বন্দি করে রাখা হয়েছে। আপনারা ইচ্ছে করলেই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। তাই এখন নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হয়। এক সময় আমি তিন উপজেলার বেশিরভাগ ঘুরাঘুরি করতে আসতাম আপনাদের সাথে কথা বলার জন্য দেখার করতে। এখন আর এটা সম্ভব না। সারাজীবন তো আমি রাষ্ট্রপতি থাকব না, সে সময় আবার আপনারা আমার কাছে যেতে পারবেন। তখন আর বাধা থাকবে না।”
কিশোরগঞ্জের ‘হাওরের রানী অষ্টগ্রাম’ অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নাগরিক সভায় আগতদের উদ্দেশে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে ছিলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
ওই অনুষ্ঠিত নাগরিক সভাটি লোকজনের আগমনে বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। অষ্ট্রগ্রাম ও তার আশপাশ থেকে হাজার হাজার মানুষ রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুনতে নাগরিক সভায় যোগদান করে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলে ছিলেন, ‘আমি কৃষকের সন্তান হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আজ রাষ্ট্রপতির সন্তান হয়েছে আপনাদের এমপি। আমি সারা জীবন সততাকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করেছি। দীর্ঘ সময় রাজনীতি করতে গিয়ে জেল খেটেছি। মামলা- হুলিয়া, পরোয়ানা নিয়ে রাজনীতি করেছি। আর্দশের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। রাজনীতিতে সততা ও জনগণের দোয়া ছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি।’এখন এই আদর্শ অনুসরণ করবে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি।
এসময় রাষ্ট্রপতি তার সাবেক সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা জেলার অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনায় আরো বেশি উন্নয়ন কাজ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এই তিন উপজেলায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা বছর চলাচলের উপযোগী রাস্তা করা হবে। সামনের শুষ্ক মৌসুমে এর কাজ শুরু করা হবে।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, অষ্টগ্রামে তার শৈশব-কৈশোর, কেটেছে, তিনি এসবের স্মৃতিচারণ করেন। শিক্ষা জীবন, রাজনীতি ও আইনি পেশাসহ নানা বিষয়ের স্মৃতি তুলে ধরেন।
রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় স্বার্থে এ থেকে উত্তোরণের জন্য প্রকৃত রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপিকে উদ্দেশ্য করে বলে ছিলেন শুধু রাজনীতি করলেই চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সততার সাথে কাজ করতে হবে। তাছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। এটাই হবে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কাজ। তা হলেই এদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রাষ্ট্রপতির জৈষ্ঠ্য ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক।