ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ চাইলেন ইমরান খান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ৩৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার প্রতিজ্ঞায় অনড়। ভারত যদি পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানিদের জড়িত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদির উচিত দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ দেওয়া।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইমরান খানকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলাম, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক লড়াই হয়েছে। একটাতেও পাকিস্তান জিততে পারেনি। এবার লড়াই হোক নিরক্ষরতা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেছিলেন, আমি পাঠানের ছেলে। সত্যি কথা বলি। সঠিক কাজ করি। তাই যদি হয় তাহলে উনি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তার ওই বক্তব্যের পর এবার মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।

ইমরানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ওই হামলার বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারলে তারা অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত করবে। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাবকে খোড়া যুক্তি বলে উল্লেখ করেছে ভারত।

কারণ জয়েশ-ই মোহাম্মদ এবং এর নেতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানের। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে এটাই পাকিস্তানের জন্য যথেষ্ট প্রমান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুম্বাই হামলার প্রমাণ পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও ওই মামলায় গত ১০ বছরে কিছুই করেনি পাকিস্তান।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলায় ভারতের সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। তারপর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকেই দায়ী করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের তরফ থেকে বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

সূত্র: পিটিআই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ চাইলেন ইমরান খান

আপডেট টাইম : ০৪:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার প্রতিজ্ঞায় অনড়। ভারত যদি পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানিদের জড়িত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদির উচিত দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ দেওয়া।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইমরান খানকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলাম, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক লড়াই হয়েছে। একটাতেও পাকিস্তান জিততে পারেনি। এবার লড়াই হোক নিরক্ষরতা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেছিলেন, আমি পাঠানের ছেলে। সত্যি কথা বলি। সঠিক কাজ করি। তাই যদি হয় তাহলে উনি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তার ওই বক্তব্যের পর এবার মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।

ইমরানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ওই হামলার বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারলে তারা অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত করবে। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাবকে খোড়া যুক্তি বলে উল্লেখ করেছে ভারত।

কারণ জয়েশ-ই মোহাম্মদ এবং এর নেতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানের। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে এটাই পাকিস্তানের জন্য যথেষ্ট প্রমান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুম্বাই হামলার প্রমাণ পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও ওই মামলায় গত ১০ বছরে কিছুই করেনি পাকিস্তান।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলায় ভারতের সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। তারপর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকেই দায়ী করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের তরফ থেকে বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

সূত্র: পিটিআই