ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের নির্দেশেই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেন হাসিনা: আলতাফ চৌধুরী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১ বার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ভারতের নির্দেশেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এ দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিনষ্ট করেছেন ধর্মনীতি।

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পাঠানো নির্যাতিত, নিপীড়িত বিএনপি নেতাদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান এবং উপজেলার সকল জামে মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনামল থেকে জনগণের মুক্তির পর, তৎকালীন সময়ে হামলা ও মামলায় এলাকাছাড়া নেতাদের প্রতি সমবেদনাসহ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শোষিত শাসনামলে দেশে গণহত্যার মঞ্চ তৈরি করেছিল হাসিনা সরকার। ওই আমলে বিএনপিসহ প্রায় ৬০ লাখ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ৫ লাখের মতো মিথ্যা মামলা করা হয়। এসব মামলায় বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী পেশা হারিয়ে পথে বসেছিল, কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। বছরের পর পর বছর স্বজন ও দেশের মায়া ত্যাগ করে রুটি রোজগার করেছেন প্রবাসে। দেশে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই জেলের অন্ধকার জীবন পার করেছেন। বন্দি জীবনে বছরের পর বছর সময় ধরে  নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। অনেক নেতাকর্মী লাশ হয়ে বের হয়েছেন জেলখানা থেকে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী সাধারণ জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন আমাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার। তবে সেই নির্বাচন অবশ্যই যেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলের মতো না হয় সেদিকে আমাদের সবার নজর দিতে হবে! এজন্য যা করতে হবে তা হলো দেশের পরিস্থিতি ঠিক করতে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে, কারণ এটিও ধ্বংস করেছিলেন ওই হাসিনা। গঠন করতে হবে নিবার্চনি সুব্যবস্থা। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। বিনষ্ট হওয়া দেশের রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা, আইন ও বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে দেশের সদ্য ফিরিয়ে আনা স্বাধীনতার নায়ক আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের হত্যার বিচার এ দেশের মাটিতেই করার ব্যবস্থা করতে হবে।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক (ভিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক জাফর ইমাম সিকদারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বাইজিদ পান্না, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন উদ্দিন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজী ও যুবদলের আহবায়ক গাজী রাশেদ শামস প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতের নির্দেশেই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেন হাসিনা: আলতাফ চৌধুরী

আপডেট টাইম : ১১:২৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ভারতের নির্দেশেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এ দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিনষ্ট করেছেন ধর্মনীতি।

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পাঠানো নির্যাতিত, নিপীড়িত বিএনপি নেতাদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান এবং উপজেলার সকল জামে মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনামল থেকে জনগণের মুক্তির পর, তৎকালীন সময়ে হামলা ও মামলায় এলাকাছাড়া নেতাদের প্রতি সমবেদনাসহ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শোষিত শাসনামলে দেশে গণহত্যার মঞ্চ তৈরি করেছিল হাসিনা সরকার। ওই আমলে বিএনপিসহ প্রায় ৬০ লাখ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ৫ লাখের মতো মিথ্যা মামলা করা হয়। এসব মামলায় বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী পেশা হারিয়ে পথে বসেছিল, কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। বছরের পর পর বছর স্বজন ও দেশের মায়া ত্যাগ করে রুটি রোজগার করেছেন প্রবাসে। দেশে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই জেলের অন্ধকার জীবন পার করেছেন। বন্দি জীবনে বছরের পর বছর সময় ধরে  নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। অনেক নেতাকর্মী লাশ হয়ে বের হয়েছেন জেলখানা থেকে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী সাধারণ জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন আমাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার। তবে সেই নির্বাচন অবশ্যই যেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলের মতো না হয় সেদিকে আমাদের সবার নজর দিতে হবে! এজন্য যা করতে হবে তা হলো দেশের পরিস্থিতি ঠিক করতে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে, কারণ এটিও ধ্বংস করেছিলেন ওই হাসিনা। গঠন করতে হবে নিবার্চনি সুব্যবস্থা। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। বিনষ্ট হওয়া দেশের রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা, আইন ও বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে দেশের সদ্য ফিরিয়ে আনা স্বাধীনতার নায়ক আবু সাঈদ ও মুগ্ধদের হত্যার বিচার এ দেশের মাটিতেই করার ব্যবস্থা করতে হবে।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক (ভিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক জাফর ইমাম সিকদারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বাইজিদ পান্না, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন উদ্দিন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজী ও যুবদলের আহবায়ক গাজী রাশেদ শামস প্রমুখ।