ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনা চোরাচালান নিয়ে দেড় মাস আগেই বিমানকে সতর্ক করে শুল্ক গোয়েন্দা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪ বার

উড়োজাহাজের ভেতরে লুকায়িত সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসন কর্তৃপক্ষকে সর্তক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিমানের সিটের নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় রাখা ২০টি সোনার বার উদ্ধার করল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অভিযান দল।

উল্লিখিত সংস্থার দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবতরণকৃত বিভিন্ন উড়োজাহাজের মাধ্যমে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা স্বর্ণ আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ–সংক্রান্তে আটককৃত স্বর্ণ কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।

কিন্তু যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিবেচনায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলোকে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় দেওয়া হয়।

চোরাচালানকৃত স্বর্ণ অনেক ক্ষেত্রেই উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে সিটের নিচে, বাথরুমে, বাথরুমের পাইপের নিচে, কেটারিং এরিয়া, ল্যাগেজ সংরক্ষণের স্থানে এমন অভিনব কায়দায় লুকায়িত থাকে। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত না থাকলে এ ধরনের অপতৎপরতা সংঘটন সম্ভব হয় না। এর দায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।

এ ধরনের চোরাচালানের ঘটনা সংঘটিত হলে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আমরা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছি। এরপরও সোনা চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হলো।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সোনা চোরাচালান নিয়ে দেড় মাস আগেই বিমানকে সতর্ক করে শুল্ক গোয়েন্দা

আপডেট টাইম : ১১:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

উড়োজাহাজের ভেতরে লুকায়িত সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসন কর্তৃপক্ষকে সর্তক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিমানের সিটের নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় রাখা ২০টি সোনার বার উদ্ধার করল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অভিযান দল।

উল্লিখিত সংস্থার দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবতরণকৃত বিভিন্ন উড়োজাহাজের মাধ্যমে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা স্বর্ণ আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ–সংক্রান্তে আটককৃত স্বর্ণ কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।

কিন্তু যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিবেচনায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলোকে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় দেওয়া হয়।

চোরাচালানকৃত স্বর্ণ অনেক ক্ষেত্রেই উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে সিটের নিচে, বাথরুমে, বাথরুমের পাইপের নিচে, কেটারিং এরিয়া, ল্যাগেজ সংরক্ষণের স্থানে এমন অভিনব কায়দায় লুকায়িত থাকে। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত না থাকলে এ ধরনের অপতৎপরতা সংঘটন সম্ভব হয় না। এর দায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।

এ ধরনের চোরাচালানের ঘটনা সংঘটিত হলে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আমরা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছি। এরপরও সোনা চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হলো।’