ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজমশক্তি বাড়ায় পুঁইশাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ২৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুঁইশাক অনেকেরই প্রিয়। প্রায় সারা বছরই এটি পাওয়া যায়। স্বাদের পাশাপাশি এটি গুণেও অনন্য একটি শাক। নিয়মিত পুঁই শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. পুই শাঁকে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

২. পুঁইশাক বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন ,জিজানথিনের ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এসব উপাদান ত্বকে তারুণ্যতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।

৩. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুঁইশাক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

৫. প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে দিনের চাহিদার শতভাগেরও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. দিনের চাহিদার ১৫ ভাগ আয়রন পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে। এ কারণে এটি রক্তশূন্যতা পূরণে সহায়তা করে।

৭. পুঁইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড এবং রিভোফ্লাভিন পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় এই শাক নিয়মিত খেলে গর্ভস্থ শিশুর নার্ভ ভাল থাকে।

৮. পুঁইশাকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন-পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং কপার থাকে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৯. পুঁইশাকে থাকা স্যাপোনিন উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

১০. কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও পুঁইশাক বেশ উপকারী।

সূত্র : নিউট্রিশন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হজমশক্তি বাড়ায় পুঁইশাক

আপডেট টাইম : ০১:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুঁইশাক অনেকেরই প্রিয়। প্রায় সারা বছরই এটি পাওয়া যায়। স্বাদের পাশাপাশি এটি গুণেও অনন্য একটি শাক। নিয়মিত পুঁই শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. পুই শাঁকে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

২. পুঁইশাক বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন ,জিজানথিনের ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এসব উপাদান ত্বকে তারুণ্যতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।

৩. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুঁইশাক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

৫. প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে দিনের চাহিদার শতভাগেরও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. দিনের চাহিদার ১৫ ভাগ আয়রন পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে। এ কারণে এটি রক্তশূন্যতা পূরণে সহায়তা করে।

৭. পুঁইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড এবং রিভোফ্লাভিন পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় এই শাক নিয়মিত খেলে গর্ভস্থ শিশুর নার্ভ ভাল থাকে।

৮. পুঁইশাকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন-পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং কপার থাকে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৯. পুঁইশাকে থাকা স্যাপোনিন উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

১০. কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও পুঁইশাক বেশ উপকারী।

সূত্র : নিউট্রিশন