আমার জানামতে বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশই প্রথম স্থানে অধিষ্ঠিত একটি দেশ, যেখানে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সংখ্যক নারীর অবস্থান রয়েছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সংসদের স্পিকার একজন নারী, সংসদের উপনেতা একজন নারী, বিরোধী নেতা একজন নারী, আর একাধিক সংখ্যক নারী মন্ত্রী তো আছেনই। দেশ পরিচালনার শীর্ষ পদে সিরিয়ালি এত নারী বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। সুদূর অতীতে ছিল বলেও আমার জানা নেই। এটাকে আমি নেতিবাচক অর্থে দেখছি না। বরং ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখার চেষ্টা করছি। কারণ, নারীর ক্ষমতায়নের প্রয়োজন আছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর যোগ্যতা-দক্ষতাকে এবং কর্মক্ষমতাকে যত বেশি কাজে লাগানো যাবে- দেশ ততই অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। এখানে আমার আলোচনা এ বিষয় নিয়ে নয়। একটি প্রবাদ আছে- ‘প্রদীপের নিচেই অন্ধকার’। এখানে আমি ক্ষমতাশালী নারী শাসনের অপর পিঠের সেই অন্ধকার দিকটা সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। যে দেশে নারীর হাতে এতটা ক্ষমতা রয়েছে, সেখানে নারীর ওপর লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-নির্যাতন, নারী হত্যা, ধর্ষণ- ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাচ্ছে কেন? এটা কি প্রদীপ জ্বালানো হলে তার নিচে যে স্বাভাবিক নিয়মে অন্ধকার থাকে- তারই রূপ? এ বছর পয়লা বৈশাখ- বর্ষবরণের উৎসবে যা দেখলাম- তাতে নারীর মর্যাদাকে যেভাবে দুমড়ে-মুচড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়েছে, তা কি আদিম হিংস্রতাকেও লজ্জা দেয়নি? এখানে লক্ষণীয় এই যে, ঘটনাটি যে স্থানে ঘটেছে- দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ অবস্থিত। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। যেখানে হায়েনার থেকেও কয়েকটি নীচু স্থানীয় মানুষরূপী জানোয়ার বিকৃত যৌন তাড়নায় হামলে পড়েছিল কয়েকজন নারীর ওপর। অনতি দূরে দাঁড়িয়ে পুলিশও সে দৃশ্য দেখেছে। পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরাতেও ঘটনাবলি দেখা গেছে। তার পরও সেই মানুষরূপী জানোয়ারগুলোকে গ্রেফতার করা যায়নি। এমনকি যাকে সাধারণ ছাত্ররা ধরেছিল তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের জানোয়ার বললেও ভুল হবে। কারণ, পশুদের মধ্যেও এই প্রবৃত্তি নেই। বছরের শুরুতেই দেখা গেল- নারীর মর্যাদা এবং সুরক্ষার এক বীভৎস দৃশ্য! পয়লা বৈশাখে নারীর ইজ্জত-সম্ভ্রমের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে দেশের গোটা সচেতন বিবেক যখন সোচ্চার হলো, ঠিক তখন দেখা গেল আর এক পৈশাচিক দৃশ্য। নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সোচ্চার আর এক প্রতিবাদী নারীর ওপর পুলিশ যে আচরণ করেছে, তা গোটা জাতিকেই হতবাক করে দিয়েছে। ইসমাত জাহান নামের একজন প্রতিবাদী ছাত্রীকে পুলিশ যেভাবে নির্যাতন করেছে- তার নিন্দার কোনো ভাষা থাকতে পারে না। সেই মেয়েটি প্রতিবাদ-মিছিলে অংশ নিয়েছিল। মিছিলে পুলিশের হামলার মুখে সে রাস্তার পাশে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তার চুলের মুঠি ধরে টেনে বের করেছে। আর এক ‘বীরপুুরুষ’ পুলিশ তার পেছনে লাথি মেরেছে, আর এক ‘বীরপুলিশ’- তাকে গলা ধরে ঠেলে নিয়ে গেছে। কী বীরত্বগাথা কাহিনী রচনা করল এসব পুলিশ! এ ঘটনায় শুধু একজন নারীর মর্যাদাকেই লাথি মারা বা গলাধাক্কা দেওয়া হয়নি, পুলিশের ভাবমূর্তিকেও পদদলিত করা হয়েছে। আমি নিন্দারও ভাষা খুঁজে পাইনি এসব ঘটনার। তাই লোক দেখানো নিন্দা জানাতেও যাইনি। যারা এ ধরনের নিন্দার ঘটনা ঘটায়- তাদের কি লজ্জা হয়! তার পরও বিবেকের তাড়নায় বিষয়টি নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত না করে পারলাম না। পত্রিকায় দেখেছি- ওই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আমি মনে করি- যে গর্হিত কাজ করা হয়েছে, তার জন্য একজন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করাই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রথম প্রয়োজন ছিল- এ সংস্থার পক্ষ থেকে জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া। তার পর তদন্ত করে দেখা- কেন ওই ধরনের ঘটনা ঘটল। আমরা জাতীয় জীবনে সব সময় লক্ষ্য করে থাকি যে, আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি ঘটনাকে আর একটি ঘটনা এসে চাপা দিয়ে যায়। ভুলে যায় অতীতের কথা। এবার পয়লা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় যা ঘটেছে- এমন ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। একবার ইংরেজি বর্ষ বিদায়ের মধ্যরাতে এই টিএসসি এলাকাতেই এক নারীর ওপর যৌন হামলা হয়েছিল। সে ঘটনারও বিচার হয়নি। এবারের বাংলা নববর্ষের ঘটনাও ভুলে যাওয়ার পথে বসেছে। রাজপথে একটি মেয়ের ওপর পুলিশি নির্যাতনের কথাও হয়তো ভুলে যেতে হবে। তবে যে মেয়েটি এই নির্যাতনের শিকার হলো, সে হয়তো সারাজীবনে ভুলতে পারবে না তার লাঞ্ছনার কথা। রাজপথে নারীর ওপর পুলিশি নির্যাতনে গোটা দেশে সচেতন বিবেকের সোচ্চার হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আমাদের বিবেককে আবার নাড়া দিয়ে গেল- সাগরপথে মানব পাচারের ঘটনাবলি। এর প্রতিটি ঘটনা আমাদের মর্মস্পর্শিতাকে ছাপিয়ে যায়। এখানেও নারীর সম্ভ্রমহানি এবং নারীর মান-মর্যাদা দলিত-মথিত হওয়ার ঘটনা জড়িয়ে আছে। নারীরা পাচার হচ্ছে। পাচার হওয়ার পর তাদের দেহটা ব্যবহৃত হচ্ছে। পাচারকালে পথেই তাদের সম্ভ্রম হারাতে হচ্ছে। এসব খবর আমাদের বিবেককে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে। ভেবে বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে পড়ি- কী অর্জন করেছি আমরা- আর ভবিষ্যৎ আমাদের কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে! দেশকে আমরা বিভিন্ন ফর্মে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেই যাচ্ছি। কিন্তু কোন পর্যায়ে আছি- কোন দিকে আমাদের গন্তব্য, তার কোনো বর্ণনা নেই। স্বাধীনতার পর ৪৩টি বছর চলে গেল। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ নিয়ে আমাদের স্বাধীন দেশের পথচলা শুরু হয়েছিল। এখন ১৬ কোটিতে পৌঁছে গেছি। আমাদের বিশাল জনসংখ্যা হবে নাকি- বিশাল জনসম্পদ। সেই সম্পদ এখন সাগরের নোনা জলে ভাসে, সেই সম্পদ এখন বিদেশের জঙ্গলে মাটিচাপা পড়ে। দাফন-কাফন হয় না, জানাজাও হয় না। এই কী ছিল আমাদের কাছে প্রত্যাশা? এই জাতির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নিজের মাটিতে শির উঁচু করে দুবেলা-দুমুঠো খেয়ে-পরে বাঁচার জন্যই তো এ জাতি জীবনপণ লড়াই করেছিল। সেই লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া জাতি আজ অন্যের দেশে ক্রীতদাস হয়ে থাকার জন্য দালালদের হাত ধরে মা-বোনসহ পাচার হচ্ছে। এটাকে আক্ষরিক অর্থে পাচার বলা হয়- আসলে কী এটা পাচার? পাচারের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কোনো কিছু চুরি করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা। এখানে যাদের পাচার করা হচ্ছে- তাদের তো অন্য কেউ চুরি করে অন্যত্র সরিয়ে দিচ্ছে না। যারা পাচার হচ্ছে- তারা নিজের ইচ্ছায় দালালের হাত ধরে খেয়ে-পরে বাঁচার আশায় কাজের সন্ধানে নির্দিষ্ট কোনো দেশে যাওয়ার জন্য সমুদ্র পথে পাড়ি জমায়। বিপদের আশঙ্কা আছে জেনেও- কেন তারা এ পথে পা বাড়ায়। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটা তারা করছে- পেটের তাড়নায়, বেকারত্বের জ্বালায়। হাজার হাজার নয়, লাখো লাখো হতাশাগ্রস্ত যুবশক্তি সর্বস্ব হারিয়ে আবার নতুন করে বাঁচার আশায় বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। বিপদের খবর জেনেও মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে শুধু খেয়ে-পরে বাঁচার আশা নিয়ে অনিশ্চিতের পথে পা বাড়ায়। যদি একটা কিছু করা যায়। দেশে যদি কিছু করার থাকত- তাহলে কী এরা এমন ঝুঁকি নিতে যেত? প্রশ্ন, দু’চারটা দালাল বা পাচারকারী মেরে বা ধরে কী এই বিপর্যয়ের মূল উৎপাটন করা যাবে?
এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাতে হবে। মানব পাচার হওয়ার পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক কারণ। কর্মসংস্থানের অভাব এবং অধিক জনসংখ্যার চাপে দেশ আজ বিপর্যস্ত। মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের মধ্যে প্রথমে রাজধানী ঢাকাকে টার্গেট করে, তার পর বিদেশ। এর বাইরে আর কোনো জায়গাও নেই। দেশের সব কিছুই তো ঢাকা কেন্দ্রিক। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি থেকে শুরু করে শিল্প কল-কারখানা-গার্মেন্ট- সব কিছুই তো ঢাকায়। দেশকে তো ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না- বা তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। তাই বেকারদের মধ্যে সামান্য সংখ্যকের কাজের সুযোগ ঢাকাভিত্তিক হলেও দেশের অগণিত শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত শ্রমশক্তি বেকারত্বের অভিশাপ সইতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে। তার ফল যা ঘটার- তাই ঘটছে। লাঞ্ছিত হচ্ছে মানবতা। আমরা সমালোচনা করার ক্ষেত্রে বেশ পটু। আবার উপদেশ দিতেও কম যাই না। সমালোচনা করা খুব উপাদেয় বিষয়- আবার উপদেশ দেওয়াও সহজ। কঠিন হচ্ছে- উপায় বলা। সেই কঠিন কাজটা আমরা খুব কম করতে যাই। আমি যেহেতু একসময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলাম- সেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনার বিরূপ পরিবেশ কাকে বলে, কত প্রকার এবং কি কি তার সবকিছুই উপলব্ধি করে এসেছি। অবর্ণনীয় বিরূপ পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যেই ছিল আমার পথ চলা। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাংলাদেশ যাতে কোনো বৈদেশিক সাহায্য না পায়- তার চেষ্টাও করা হয়েছে এদেশেরই কিছু দেশপ্রেমিক(!) রাজনীতিকের পক্ষ থেকে। তথাকথিত আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তো বাদই দিলাম। তার মধ্য দিয়েও আমি দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলাম। আমার সময়ে এভাবে মানব পাচারের ঘটনা ঘটেনি। তখন সমুদ্রের নোনা জলে আমার দেশের মানুষের লাশ ভাসেনি। দেশে ভয়াবহ দুটি বন্যার সময়েও একটি মানুষকে পানিতে ভেসে মরতে হয়নি। আমার সময়েই বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মানুষ বৈধ পথে বিদেশ গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি অন্যতম প্রধান খাত হয়েছিল জনশক্তি। আজ সেই জনশক্তিকে অবৈধ পথে বিদেশে পা বাড়াতে গিয়ে মরতে হচ্ছে। অকথ্য নির্যাতন সইতে হচ্ছে। বিদেশের জঙ্গলে গণকবরে তাদের ঠাঁই হচ্ছে। আমি উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলাম- উন্নয়ন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই উন্নয়ন কাজের জন্য প্রচুর শ্রমশক্তির প্রয়োজন ছিল। তাই দেশের শ্রমশক্তি দেশেই কাজে লেগেছে। তাদের পাচার হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এখন যদি দেশের জনশক্তির অপচয় এবং পাচার রোধ করতে হয়- তাহলে উপজেলা ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের প্রত্যেকটি উপজেলাকে স্থানীয় ভিত্তিক শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দেশকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এবং দেশের অর্থনীতি সচল হলে- কোনো মানুষ বিদেশে ক্রীতদাস হতে যাবে না। আর জনসংখ্যাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এক দম্পতির এক সন্তানই সবচেয়ে ভালো- তবে দুটির অধিক কোনোভাবেই নয়- এই নীতি অন্তত ২৫ বছরের জন্য হলেও গ্রহণ করতে হবে। নারীর মর্যাদার কথায় আবার ফিরে আসি। আমি দেশের একজন পুরুষ শাসক ছিলাম। কিন্তু আমার সময় নারীদের এমনভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়নি। নারীরা রাজপথে আব্রু হারায়নি। দেশের মুষ্টিমেয় কুলাঙ্গার দমন করা এমন কোনো কঠিন বিষয় হতে পারে না। আমার সময়ে একবার দেশে এসিড নিক্ষেপের প্রবণতা শুরু হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই আমি সেই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করেছিলাম। এর ফলে এসিড নিক্ষেপের মতো অপরাধ একেবারে কমে যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটা নিবেদন থাকবে- নারীর মান-মর্যাদা রক্ষায় আপনি কঠোর আইন প্রণয়ন করুন। কোনো নারীও অপরাধ করতে পারে। তবে তার শাস্তি নারীত্বের মান-মর্যাদার ওপর কোনোভাবেই আঘাত হেনে নয়। আমি জানি এই সমাজে এমনো নারী আছে- যারা কোনো সন্ত্রাসী পুরুষের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তারাও আইনের শাসনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু এমন কোনো নারীর শরীরেও একজন পুরুষ পুলিশ হাত দিতে পারে না। আমি আশা করব- আমাদের পুলিশ বাহিনী আগামীতে দায়িত্ব পালন এবং কথা-বার্তার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবে। অবিলম্বে পয়লা বৈশাখের দিনে টিএসসি এলাকার ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে। প্রতিবাদী ছাত্রীটির ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে- তারও বিচারের ব্যবস্থা করে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে হবে।