ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচ্ছেদের ৭২ বছর পর দেখা হলো তাঁদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ২৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচ্ছেদের ৭২ বছর পর দেখা হলো তাঁদের। স্বামীর বয়স এখন ৯০ আর স্ত্রীর ৮৫। দুজনেরই রয়েছে আলাদা আলাদা সংসার। রয়েছে সন্তান। তবু কোথাও যেন বন্ধনটুকু রয়ে গেছে।

সিনেমার মতো এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালায়। গল্পটা নারায়ণন নামিবিয়া এবং সারদা দেবীর। ১৯৪৬ সালে যখন বিয়ে হয় তখন নারায়ণনের বয়স ছিল ১৮ বছর আর সারদার ১৩ বছর। মাত্র আট মাসেই শেষ হয়ে যায় তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ব্রিটিশ আমলে ভারতের স্বাধীনতার আগে নারায়ণন ছিলেন বিপ্লবী।

কেরালা রাজ্যের কাভুম্বাইয়ে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন নারায়ণন। আন্দোলন করেছেন মূলত ভূস্বামী ও সামন্তবাদীদের বিরুদ্ধে। সেই সময় মালাবার স্পেশাল পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর কেরালার কন্নুরের কারাগারে বন্দী ছিলেন। মুক্তি পান ১৯৫৪ সালে। কারাগার থেকে বেরিয়ে জানতে পারেন, সারদার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। পরে নারায়ণনও বিয়ে করেন।

৭০ বছর ধরে নারায়ণন বা সারদা দেবীর দেখা হয়নি। সারদা দেবীর ছেলে ভার্গব আর নারায়ণের ভাইঝি শান্তা তাঁদের দেখা করানোর উদ্যোগ নেন। শান্তা নারায়ণের জীবনের ওপর একটি উপন্যাসও লিখেছেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর কন্নুরে সারদা দেবীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় নারায়ণনকে। প্রথম দেখাতেই সারদাকে চিনে ফেলেন নারায়ণন। তারপর দুজনে কথা বলেন। ফিরে যাওয়ার সময় নারায়ণন সারদাকে বলেন, ‘আজ আমি চলি’। সারদা শুধু অপলকে তাকিয়ে থাকেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচ্ছেদের ৭২ বছর পর দেখা হলো তাঁদের

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচ্ছেদের ৭২ বছর পর দেখা হলো তাঁদের। স্বামীর বয়স এখন ৯০ আর স্ত্রীর ৮৫। দুজনেরই রয়েছে আলাদা আলাদা সংসার। রয়েছে সন্তান। তবু কোথাও যেন বন্ধনটুকু রয়ে গেছে।

সিনেমার মতো এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালায়। গল্পটা নারায়ণন নামিবিয়া এবং সারদা দেবীর। ১৯৪৬ সালে যখন বিয়ে হয় তখন নারায়ণনের বয়স ছিল ১৮ বছর আর সারদার ১৩ বছর। মাত্র আট মাসেই শেষ হয়ে যায় তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ব্রিটিশ আমলে ভারতের স্বাধীনতার আগে নারায়ণন ছিলেন বিপ্লবী।

কেরালা রাজ্যের কাভুম্বাইয়ে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন নারায়ণন। আন্দোলন করেছেন মূলত ভূস্বামী ও সামন্তবাদীদের বিরুদ্ধে। সেই সময় মালাবার স্পেশাল পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর কেরালার কন্নুরের কারাগারে বন্দী ছিলেন। মুক্তি পান ১৯৫৪ সালে। কারাগার থেকে বেরিয়ে জানতে পারেন, সারদার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। পরে নারায়ণনও বিয়ে করেন।

৭০ বছর ধরে নারায়ণন বা সারদা দেবীর দেখা হয়নি। সারদা দেবীর ছেলে ভার্গব আর নারায়ণের ভাইঝি শান্তা তাঁদের দেখা করানোর উদ্যোগ নেন। শান্তা নারায়ণের জীবনের ওপর একটি উপন্যাসও লিখেছেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর কন্নুরে সারদা দেবীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় নারায়ণনকে। প্রথম দেখাতেই সারদাকে চিনে ফেলেন নারায়ণন। তারপর দুজনে কথা বলেন। ফিরে যাওয়ার সময় নারায়ণন সারদাকে বলেন, ‘আজ আমি চলি’। সারদা শুধু অপলকে তাকিয়ে থাকেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো