ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মদনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ঈদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ সম্মানি দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাংলাদেশে ব্যবসা করবেন ট্রাম্প, নিলেন ট্রেড লাইসেন্স সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, ‘দেশে ফিরতে বাধা নেই’ অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ঈদের চাঁদ ২৯ রমজানে দেখার সম্ভাবনা নেই, জানা গেলো কারণ নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরায় যা বললেন মেহেদি ঈদ উপলক্ষ্যে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ইসলামি পোশাক পরে পরকালের কথা বললেন সিমরিন লুবাবা

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ৯ বার

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসির) পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর তাকে রাজধানী ম্যানিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্তাতে ক্ষমতায় থাকাকালীন অবৈধভাবে মাদক পাচারের অভিযোগে দেশে গণহত্যা চালায়। আদালত এ বিষয়ে তদন্ত করবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) দুর্তাতের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মাধ্য চালানোর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তিনি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তা সম্ভব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল হিসেবে গণ্য হতে পারে।

২০১৯ সালে রন্দ্রিগো দুর্তাতে রোম সংবিধি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময়ে মানবাধিকার কর্মীরা এই কাজকে তার বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উত্থাপন করে।

এছাড়া ২০২১ সালে দুতার্তের প্রশাসন আন্তর্জাতি অপরাধ আদালতের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ফিলিপাইনের আদালতই এ বিষয়ে তদন্ত করছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, আইসিসি হলো শেষ আশ্রয়স্থল, তাই এ বিষয়ে তদন্ত করা তার এখতিয়ারের মধ্যে নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১১:০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসির) পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর তাকে রাজধানী ম্যানিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্তাতে ক্ষমতায় থাকাকালীন অবৈধভাবে মাদক পাচারের অভিযোগে দেশে গণহত্যা চালায়। আদালত এ বিষয়ে তদন্ত করবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) দুর্তাতের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মাধ্য চালানোর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তিনি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তা সম্ভব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল হিসেবে গণ্য হতে পারে।

২০১৯ সালে রন্দ্রিগো দুর্তাতে রোম সংবিধি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময়ে মানবাধিকার কর্মীরা এই কাজকে তার বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উত্থাপন করে।

এছাড়া ২০২১ সালে দুতার্তের প্রশাসন আন্তর্জাতি অপরাধ আদালতের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ফিলিপাইনের আদালতই এ বিষয়ে তদন্ত করছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, আইসিসি হলো শেষ আশ্রয়স্থল, তাই এ বিষয়ে তদন্ত করা তার এখতিয়ারের মধ্যে নয়।