ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মথুরকান্দি গ্রাম ও আদাং গ্রামের মরা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না এলাকার ৯ গ্রামের মানুষের। জন চলাচলের সুবিধার্থে জরুরিভিত্তিতে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মরা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক হলে এলাকার রতারগাঁও, জিনারপুর, আদাং, মথুরকান্দি, সোনারপাড়া, রাঙ্গামাটি, বেড়েরগাঁও, গোলগাঁও, চিনাকান্দি গ্রামের মানুষ এই বাইপাস সড়কে চলাচল করার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টি হবে। এছাড়া মথুরকান্দি বাজার, চিনাকান্দি বাজার ও বাঘবের বাজারের ব্যবসায়ীরা আশপাশ এলাকায় মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করতে এই বাইপাস সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন।

মথুরকান্দি গ্রামের আদাং আব্দুল মালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মরা নদীতে এই সেতু নির্মাণ হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে। মথুরকান্দি গ্রামটি মরা নদীর পশ্চিমপাড়ে এবং নদীর পূর্বপাড়ে আদাং গ্রাম। মথুরকান্দি ও আদাং এই দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মরা নদীর অবস্থান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এই মরা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা।

জানা যায়, এই মরা নদীতে বর্ষায় প্রায় ৫ মাস পানি থাকলেও শুকনা মওসুমে একেবারেই পানি থাকে না। শুকিয়ে যাওয়া মরা নদীর নিচে দিয়ে পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করতে পারেন না। বালি মাটিতে হুছট খেতে হয় প্রতিনিয়ত। মালবাহী গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে আসা-যাওয়াও সম্ভব নয় মরা নদীর নিচে দিয়ে। আবার বর্ষায় পানি থাকলেও সমস্যা হয়। এলাকার মানুষের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরিতে মরা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ হলেও উভয় গ্রামের সাথে বাইপাস সড়ক না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না এলাকার মানুষের।

আদাং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, মালেকা বানু ও শিক্ষার্থী তাছলিমা খাতুন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে এই সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সড়ক না থাকায় সেতুর উপর দিয়ে আমরা কোনো দিন আসা-যাওয়া করতে পারিনি। এখন এলাকার ছোট শিশুরা খেলাধূলা করে এই সেতুর উপর। আমরা এই সেতুর সংযোগ সড়ক চাই।’

সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুশন আলী বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণে আমার কাছে কোনো বরাদ্দ নেই।’

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি ও জিনারপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মহরম আলী বলেন, সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলে বাইপাস সড়ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারতো এলাকার মানুষ। এলাকার উন্নয়নে বাইপাস সড়কটি দ্রুত নির্মাণ জরুরি প্রয়োজন।’

সদর উপজেলার (বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘মথুরকান্দি এলাকায় মরা নদীতে সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ওই সময়ে সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছিল ঠিকাদার। প্রায় ৩ বছরে সড়কের মাটি ক্ষয় হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মথুরকান্দি গ্রাম ও আদাং গ্রামের মরা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না এলাকার ৯ গ্রামের মানুষের। জন চলাচলের সুবিধার্থে জরুরিভিত্তিতে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মরা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক হলে এলাকার রতারগাঁও, জিনারপুর, আদাং, মথুরকান্দি, সোনারপাড়া, রাঙ্গামাটি, বেড়েরগাঁও, গোলগাঁও, চিনাকান্দি গ্রামের মানুষ এই বাইপাস সড়কে চলাচল করার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টি হবে। এছাড়া মথুরকান্দি বাজার, চিনাকান্দি বাজার ও বাঘবের বাজারের ব্যবসায়ীরা আশপাশ এলাকায় মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করতে এই বাইপাস সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন।

মথুরকান্দি গ্রামের আদাং আব্দুল মালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মরা নদীতে এই সেতু নির্মাণ হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে। মথুরকান্দি গ্রামটি মরা নদীর পশ্চিমপাড়ে এবং নদীর পূর্বপাড়ে আদাং গ্রাম। মথুরকান্দি ও আদাং এই দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে মরা নদীর অবস্থান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এই মরা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা।

জানা যায়, এই মরা নদীতে বর্ষায় প্রায় ৫ মাস পানি থাকলেও শুকনা মওসুমে একেবারেই পানি থাকে না। শুকিয়ে যাওয়া মরা নদীর নিচে দিয়ে পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচল করতে পারেন না। বালি মাটিতে হুছট খেতে হয় প্রতিনিয়ত। মালবাহী গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে আসা-যাওয়াও সম্ভব নয় মরা নদীর নিচে দিয়ে। আবার বর্ষায় পানি থাকলেও সমস্যা হয়। এলাকার মানুষের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরিতে মরা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ হলেও উভয় গ্রামের সাথে বাইপাস সড়ক না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না এলাকার মানুষের।

আদাং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, মালেকা বানু ও শিক্ষার্থী তাছলিমা খাতুন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে এই সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সড়ক না থাকায় সেতুর উপর দিয়ে আমরা কোনো দিন আসা-যাওয়া করতে পারিনি। এখন এলাকার ছোট শিশুরা খেলাধূলা করে এই সেতুর উপর। আমরা এই সেতুর সংযোগ সড়ক চাই।’

সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুশন আলী বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণে আমার কাছে কোনো বরাদ্দ নেই।’

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি ও জিনারপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মহরম আলী বলেন, সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলে বাইপাস সড়ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারতো এলাকার মানুষ। এলাকার উন্নয়নে বাইপাস সড়কটি দ্রুত নির্মাণ জরুরি প্রয়োজন।’

সদর উপজেলার (বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘মথুরকান্দি এলাকায় মরা নদীতে সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ওই সময়ে সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছিল ঠিকাদার। প্রায় ৩ বছরে সড়কের মাটি ক্ষয় হয়েছে।’