হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘স্টাইল আইকনিক’ প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘোর রহস্য, যা মানুষের কাছে এখনো অজানা। প্রায় দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি আদালত। এমনকি তদন্তকারী সংস্থাগুলোও সালমানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃতু হয় সালমান শাহ’র। এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) পুনরায় সালমানের চিকিৎসক ও লাশের তত্ত্বাবধানে থাকা ডোমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
গতকাল গণমাধ্যমগুলো যখন সিকান্দারকে আদালতের মুখোমুখি হওয়ার কথা বলেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে যান। অপ্রসন্ন দৃষ্টিতে বলেন, “এত বছর আগের ঘটনা, কি করে মনে থাকে বলুন? আদালত আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ কথা বলা ছাড়া আর কি-ই বা বলতে পারবো!”
তবুও গণমাধ্যমের তৎপরতায় সিকান্দার বিস্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘যতদূর মনে পড়ে তৎকালীন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডা. তেজেন দাস ও ডা. বারি নামে দু’জন চিকিৎসক সালমান শাহ’র ময়নাতদন্ত করেছিলেন। ওই সময় আমিও ময়নাতদন্তে চিকিৎসকদের সহায়তা করেছিলাম। তবে ২২ বছর আগে করা সেই ময়নাতদন্ত সম্পর্কে এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই।’
সিকান্দার আলী আরো জানান, ‘তেজেন দাস ও বারি নামের ওই দুই ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক বহু বছর আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁরা এখন কোথায় আছেন জানি না।’
সালমান শাহ বাংলাদেশের মহানায়ক বলেই এত কিছু হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ডোম সিকান্দার আলী।
কে এই সিকান্দার? ১৯৯৬ সালে সালমানের লাশের তত্ত্বাবধানে থাকা ডোম সিকান্দারের মূল নাম রমেশ চন্দ্র। রমেশ পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম বদলে রাখেন সিকান্দার আলী। সালমানের মৃত্যুর সময় সিকান্দার ছিলেন বয়সে তরুণ। নব্বইয়ের দশকে বাবার হাত ধরে লাশ তদারকির পেশায় এসেছিলেন সিকান্দার।
তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডোম ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন সিকান্দার। ময়নাতদন্ত করতে করতে তিনি এতটাই অভিজ্ঞ হয়েছেন যে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অনেক চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে তার পরামর্শ নেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ আগস্ট সালমান শাহ’র মৃত্যুর তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন দেখার বিষয় আদালত এই রহস্যের কতটা ঘোর কাটাতে পারেন।