হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করেছে ঢাকা। আজ ও আগামীকাল এ নিয়ে নেপি’ডতে সিরিজ আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আসেম সম্মেলনে নেপি’ডতে রয়েছেন। সম্মেলন শেষে আজ ও আগামীকাল দেশটিতে তিনি দ্বিপক্ষীয় সফরে থাকছেন।
মূলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোই মন্ত্রীর সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের চূড়ান্ত নেগোসিয়েশনে অংশ নিতে জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গতকাল নেপি’ড গেছেন। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে এক কর্মকর্তা হাওর বার্তাকে বলেন, চুক্তি হচ্ছে এটি মোটামুটি চূড়ান্ত।
তবে সেই চুক্তির অনেক বিষয়ে এখনো মিয়ানমারের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছানো যায়নি। বিশেষ করে জাতিসংঘ বা এর অধীন সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রশ্নে মিয়ানমারের আপত্তি রয়েছে। ঢাকা চাইছে দ্বিপক্ষীয় ওই চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের ন্যূনতম পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে। ২২ ও ২৩শে নভেম্বর মন্ত্রী মাহমুদ আলীর দু’দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচিসহ দেশটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে।
সেই বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সম্পৃক্ততার সুযোগ রাখার দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে যে বিষয়ে দুই দেশ এখনো মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি তা নিয়ে আলোচনা হবে। সেগুনবাগিচার কর্মকর্তারা বলছেন, স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রীর ঢাকা সফরের প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির খসড়াটি হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে তার সফরকালে কিছু আলোচনাও হয়। সেই সময়ে চুক্তির অনেক ধারা নিয়ে আপত্তি তোলে মিয়ানমার।
বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় ওই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নিয়ে ঘোর আপত্তি জানায় নেপি’ড। এটি হোক রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কিংবা চূড়ান্তভাবে তাদের প্রত্যাবাসন বা ফিরে যাওয়া ! ১৯৯২ সালের ২৮শে এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেটি ধরেই এগুতে চায় মিয়ানমার। বাংলাদেশ অবশ্য বলছে ৯২’র প্রেক্ষাপট আর আজকের অবস্থা এক নয়। ফলে চুক্তিরও আপগ্রেডেশন প্রয়োজন।