স্বস্তিতে ক্রেতা খুলনায় কমেছে চালের দাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতীয় চাল আমদানিতে প্রভাব পড়েছে খুলনার চালের বাজারে। মানভেদে গত চারদিন ধরে মোকাম ও পাইকারি বাজারের পর খুচরা বাজারেও চালের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি চাল ১ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

দেশি চালের চেয়ে ভারতীয় চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কম। ফলে ভারতীয় চালের আমদানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান, ভারতীয় চাল দখল করেছে খুলনার সব মোকাম। ভারত থেকে আসা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, মিনিকেট ও বালাম ২৮। যার প্রভাবে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে।

রোববার বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী এনসিডি বাণিজ্য ভাণ্ডারের মালিক মধুসূদন দাশ জানান, খুলনার সব মোকামে বেড়েছে ভারতীয় চালের উপস্থিতি। ভারত থেকে আসা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, মিনিকেট ও বালাম-২৮, যার প্রভাবে বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।

কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করে শহীদ নামের এক ক্রেতা বলেন, পরশ বালাম এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় কিনেছি, তা এখন ৫২ টাকা হয়েছে। চালের দাম কমায় সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।

চালের মোকামে ক্রেতা-বিক্রেতারা-ছবি-মানজারুল ইসলামবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কমেছে। চারদিন আগে বালাম-২৮ বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়, এলসি বালাম ৫০ থেকে কমে ৪২ টাকায়, বাসমতি ৬৮ থেকে কমে ৬৪ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৭ থেকে ৬৬ টাকায়, মিনিকেট ৬২ থেকে কমে ৫৮ টাকায়, আতপ ৩৭ থেকে কমে ৩৪ টাকায়, এলসি স্বর্ণা ৪৯ থেকে ৪১ টাকায়, এলসি মিনিকেট ৬০ থেকে ৫৪ টাকায়, ভাইটাল মোটা ৬৩ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সিদ্ধ কাটারিভোগ অপরিবর্তিত ৭৫ টাকায়, আতপ কাটারিভোগ ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬২ টাকায়, পোলাও ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। এ বিষয়ে মাহবুব নামের এক ক্রেতা বলেন, ভারতীয় চালের আমদানির পাশাপাশি বাজারে প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হওয়ায় চালের দাম কিছুটা কমেছে। মিল মালিকরা জরিমানা ও মামলার ভয়ে চালের দাম বাড়াচ্ছেন না।

তবে যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আরো বাড়ানোর পাঁয়তারা করেছিলেন তাদের এখন মাথায় হাত পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর