ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থন লক্ষ্য করা গেলেও দিন শেষে তা পতনমুখী হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সূচকের উত্থানে এদিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪১.২৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৭.৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩.৪৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫০টি কোম্পানির, কমেছে ৩১০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৭৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ১৮.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪.৭০ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৫.০২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৩ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ২৪.৪৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।