হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই চার পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্ন পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রুনা লায়লা।
পরীক্ষার্থীরা হলেন শওকত হোসেন চৌধুরী (রোল ১০৬৯৭৭), আয়শা আক্তার লতা (রোল ১০২৫৮৬), মেহেদী হাসান (রোল ১০৮২৬৮) ও নাজমুল ইসলাম (রোল ১০৫৩১৭)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের ফটকের সামনে এই চার শিক্ষার্থী মোবাইলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখছিলেন। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের আটক করে। পরে মোবাইলে রেখে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা শেষে চারজনের মধ্যে শওকত ও আয়শাকে খুঁজে পেয়ে তাদের প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি করা হয়। সেখানে তারা দুজনই আগেই প্রশ্ন পাওয়ার কথা জানিয়ে লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত চারজনের পরীক্ষা বাতিলের রায়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে তাদের আটক করে মোবাইল জব্দ করা হয়। তাদের মোবাইলে থাকা প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়।
সে কারণে পরীক্ষা শেষে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে পদ্ধতিতে বার কোড, কালার কোড ও ভিন্ন ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নিয়ে থাকি এসব ফাঁকি দেওয়া জালিয়াত চক্রের সাধ্যের বাইরে। আমরাই প্রথম পরীক্ষা সুষ্ঠু ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে বারকোড ও কালার কোড পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। তা এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করছে।