ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেছেন, ‘তারা রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘‘বাঙালি’’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সরকারি পেজে গতকাল শনিবার দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে আজ রোববার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সংখ্যালঘু ইস্যুতে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী যে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালিয়েছে, তার মূল লক্ষ্য ছিল গত ২৫ আগস্ট পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের উৎখাত করা।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু বহুদিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা বলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত কয়েক সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেছেন, ‘তারা রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘‘বাঙালি’’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সরকারি পেজে গতকাল শনিবার দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে আজ রোববার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সংখ্যালঘু ইস্যুতে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী যে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালিয়েছে, তার মূল লক্ষ্য ছিল গত ২৫ আগস্ট পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের উৎখাত করা।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু বহুদিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা বলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত কয়েক সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।