সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লি গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার পর ওই বৈঠক করতে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী প্রেসসচিব ইহসানুল করিম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নরেন্দ্র মোদির ৭ রেস কোর্স রোডের (আরসিআর) বাসভবনে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত। এর আগে বুধবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোয়া ৮টা) দিকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তিনি। সেখানে গিয়ে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে। সেখানে কিছুটা সময় কাটান ও প্রণব মুখার্জিকে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লির সাত নম্বর রেসকোর্স রোডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘একটা শোকের সময় চলছে- তাই ঠিকমতো আপ্যায়নটুকুও করতে পারলাম না, কিছু মনে করবেন না যেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরে না না, মনে করার প্রশ্নই ওঠে না। আর আমিও তো এলাম প্রণববাবুর পরিবারের শোকের মুহূর্তে তাঁর পাশে দাঁড়াতেই। ওনার সঙ্গে আমাদের যে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা তা বলে বোঝানো যাবে না- আর আমিও তাই ঢাকায় বসে থাকতে পারলাম না!’
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী, দেশের ফার্স্টলেডি শুভ্রা মুখার্জিকে শেষ বিদায় জানাতে আর তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতেই সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লি যান শেখ হাসিনা – আর সেই অবকাশেই ছিল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর আধঘণ্টার বৈঠক। কাজেই সরকারি কর্মকর্তারা একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই বর্ণনা করছেন কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সৌজন্য ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই মতবিনিময় হয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার। তাই এই শোকের আবহেও এটাকে ঠিক নিরস রুটিন বৈঠক বলে ভাবা যাচ্ছে না।