নরসিংদীর গাবতলীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা এক দুবাই প্রবাসীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আটকা পড়েছে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।
ওই বাড়িটি উত্তর গাবতলীর জামিয়া কাসেমিয়া নামক মাদ্রাসা সংলগ্ন।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে বাড়িটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে আজহার ইবনে মাহফুজ নামে এক ব্যক্তি জানান, জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র মাসুদুর রহমান তার শ্যালক। সে ওই বাড়িতে আটকা পড়েছে।
আজহার বলেন, জাফর নামের এক শিক্ষকের কাছে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল মাসুদ। এরপর সেখানে অভিযান শুরু হলে সে আটকা পড়ে যায়।
আজহারের বাড়ি টাঙ্গাইল। তার শ্যালক মাসুদ গাজিপুরের বোর্ডবাজার এলাকার আবদুল মজিদ মিয়ার ছেলে।
আজহার জানান, শিক্ষক জাফর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এদিকে বাড়ির ভেতর থেকে মাসুদ সাংবাদিকদের জানায়, এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র সালাউদ্দিন,নরসিংদী সরকারী কলেজের ছাত্র আবু জাফর, বাছিরুল ইসলাম ও মসিউর রহমানসহ ৫ জন অবস্থান করছেন।
মাসুদ জানায়, বাড়িতে থাকা ছাত্রদের কারও কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র নেই। আইনশৃংখলা বাহীনির সদস্যরা চাইলে তারা আত্মসমর্থন করবে।
র্যাব ১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান বলেন, নব্য জেএমবির ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়িটিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এরমধ্যে বাড়ির মালিক মইন উদ্দিনের ভাই জাকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর সহকারী কমান্ডার আলেপ উদ্দিন জানান, যারা বাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের বাড়ি নরসিংদী, গাজিপুর ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.কে.এম ফয়জুল হক জানান, অভিযানের সুবিধার্থে ঘটনাস্থলের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।
র্যাবের পরিচালক মিডিয়া উইং কমান্ডার মুফতি মাহামুদ বলেন,সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গি অভিযানের পর জঙ্গিরা ঢাকার আশেপাশে জেলায় অবস্থান নেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের কাছে বাড়িটি সম্পর্কে সুনিদিষ্ট তথ্য রয়েছে।
তিনি দাবি করেন, গাবতলীর এই বাড়িতে জঙ্গিরা ঘাঁটি বেঁধেছে। তাই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে।
তবে বাড়ির ভেতর থেকে এক ছাত্র যে বক্তব্য দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।