ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট বিভাগে বজ্রপাত-বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৮

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৪ বার

সিলেট বিভাগে বজ্রপাত ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জন বজ্রপাতে ও একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।

রোববার সিলেট সদর উপজেলার কাটিমারা গ্রামে একজন, বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওড়ে আরেকজন মারা যান। এছাড়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দুজন, জামালগঞ্জ ও ছাতক উপজেলায় দুজন, কোম্পানীগঞ্জে একজন বজ্রপাতে ও বিশ্বম্ভরপুরে একজন বিদু্যত্স্পৃষ্টে মারা গেছেন।

বিশ্বনাথে নিহত রেদওয়ান আহমদ সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে। সিলেট সদর উপজেলায় নিহত মফিজ আলী পেশায় দিনমজুর। বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে গেছে। এদিকে দোয়ারাবাজারের পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন হাওরে মাছ ধরতে যান।

এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। জেলার জামালগঞ্জে মধ্যরাতে বজ্রপাতে শরিফ মিয়া নামে আরেক জেলের মৃতু্য হয়। তিনি উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। কোম্পানীগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত মাসুক আহমেদ পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে। সকালে মাসুক বাড়ির পাশের হাওড়ে ঘাস কাটতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বিশ্বম্ভরপুরের সলুকাবাদ ইউনিয়নের মতুরকান্দি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অজ্ঞাতনামা যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা সকালে ট্রান্সমিটারের খুঁটির নিচে সরঞ্জামসহ তার লাশ দেখতে পান। স্থানীয়দের ধারণা, রাতে ট্রান্সমিটার চুরি করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। রোববার ছাতকের মলি্লকপুর গ্রামের পাশের হাওড়ে বজ্রপাতে সুন্দর আলী নামে আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট বিভাগে বজ্রপাত-বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৮

আপডেট টাইম : ১০:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট বিভাগে বজ্রপাত ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জন বজ্রপাতে ও একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।

রোববার সিলেট সদর উপজেলার কাটিমারা গ্রামে একজন, বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওড়ে আরেকজন মারা যান। এছাড়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দুজন, জামালগঞ্জ ও ছাতক উপজেলায় দুজন, কোম্পানীগঞ্জে একজন বজ্রপাতে ও বিশ্বম্ভরপুরে একজন বিদু্যত্স্পৃষ্টে মারা গেছেন।

বিশ্বনাথে নিহত রেদওয়ান আহমদ সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে। সিলেট সদর উপজেলায় নিহত মফিজ আলী পেশায় দিনমজুর। বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে গেছে। এদিকে দোয়ারাবাজারের পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন হাওরে মাছ ধরতে যান।

এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। জেলার জামালগঞ্জে মধ্যরাতে বজ্রপাতে শরিফ মিয়া নামে আরেক জেলের মৃতু্য হয়। তিনি উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। কোম্পানীগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত মাসুক আহমেদ পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে। সকালে মাসুক বাড়ির পাশের হাওড়ে ঘাস কাটতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বিশ্বম্ভরপুরের সলুকাবাদ ইউনিয়নের মতুরকান্দি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অজ্ঞাতনামা যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা সকালে ট্রান্সমিটারের খুঁটির নিচে সরঞ্জামসহ তার লাশ দেখতে পান। স্থানীয়দের ধারণা, রাতে ট্রান্সমিটার চুরি করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। রোববার ছাতকের মলি্লকপুর গ্রামের পাশের হাওড়ে বজ্রপাতে সুন্দর আলী নামে আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।