ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০১৭
  • ২৯৫ বার

দিরাইয়ের রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের ওএমএস ডিলার পূর্নেন্দু সরকার রনির বিরুদ্ধে কালোবাজারীর মাধ্যমে ২০ বস্তা চাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন শুক্রবার রাতে রফিনগনর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শরিফ উদ্দিনের কাছে এসব চাল বিক্রি করেন ডিলার রনি।
এ ঘটনায় দিরাই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ওসিএলএসডি ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টরকে দিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে ডিলারের দোকান থেকে শরিফ উদ্দিনের দোকানে চাল নেয়ার সময় দেখে ফেলে বাজারের পাহাড়াদার। পরে শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত লোকজন বাজারে বিক্ষোভ করে। এলাকাবাসী কালোবাজারে
ওএমএসের চাল বিক্রির বিষয়টি দিরাই থানার ওসি, ইউএনও এবং জেলা প্রশাসককে অবগত করেন। বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ডিলার ও চাল ক্রেতা বাজারে না থাকায় ডিলারের চালের মজুদ পরীক্ষা ও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউএনও’র নির্দেশে ডিলার ও চাল ক্রেতার দোকানঘর তালাবদ্ধ করে পাহাড়াদার রাখা হয়েছে। আজ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
অভিযুক্ত ডিলার পূর্নেন্দু সরকার রনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ আমার গোদাম পুলিশের হেফাজতে রাখার জন্য বলেছি। আজ গোদামের মওজুদ করা চাল দেখার পর আমাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি বলেছি আমাকে পুলিশী নিরাপত্তা না দেয়া হলে আমি ডিলারশীপ সারেন্ডার করব।’
বাংলাবাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন,‘ শুক্রবার রাত ১টা ২০ মিনিটে বাজারের পাহাড়াদাররা শরিফ উদ্দিনের ঘরে চাল নিতে দেখেছে। ঘটনাটি চাপা রাখতে ডিলার রনি পাহাড়াদারদের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল এবং বিষয়টি গোপন রেখে স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিল। ইউপি চেয়ারম্যানও চেষ্টা করেছিলেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করতে। এলাকার লোকজন বিষয়টি দিরাই থানার ওসি ও ইউএনওকে অবগত করেছেন। শনিবার শরিফ উদ্দিনের দোকানঘরে ২০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। ’
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন,‘রফিনগর ইউনিয়নের ডিলার কালোবাজারীতে চাল বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই দু’টি দোকানঘর পুলিশ তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছে। আজ আমি নিজে যাব। তবে এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন,‘ রফিনগর ইউনিয়নের ওএমএস ডিলারের কালো বাজারে চাল বিক্রির বিষয়টি জানার পরপরই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি

আপডেট টাইম : ১০:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০১৭

দিরাইয়ের রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের ওএমএস ডিলার পূর্নেন্দু সরকার রনির বিরুদ্ধে কালোবাজারীর মাধ্যমে ২০ বস্তা চাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন শুক্রবার রাতে রফিনগনর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শরিফ উদ্দিনের কাছে এসব চাল বিক্রি করেন ডিলার রনি।
এ ঘটনায় দিরাই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ওসিএলএসডি ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টরকে দিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে ডিলারের দোকান থেকে শরিফ উদ্দিনের দোকানে চাল নেয়ার সময় দেখে ফেলে বাজারের পাহাড়াদার। পরে শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত লোকজন বাজারে বিক্ষোভ করে। এলাকাবাসী কালোবাজারে
ওএমএসের চাল বিক্রির বিষয়টি দিরাই থানার ওসি, ইউএনও এবং জেলা প্রশাসককে অবগত করেন। বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ডিলার ও চাল ক্রেতা বাজারে না থাকায় ডিলারের চালের মজুদ পরীক্ষা ও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউএনও’র নির্দেশে ডিলার ও চাল ক্রেতার দোকানঘর তালাবদ্ধ করে পাহাড়াদার রাখা হয়েছে। আজ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
অভিযুক্ত ডিলার পূর্নেন্দু সরকার রনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ আমার গোদাম পুলিশের হেফাজতে রাখার জন্য বলেছি। আজ গোদামের মওজুদ করা চাল দেখার পর আমাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি বলেছি আমাকে পুলিশী নিরাপত্তা না দেয়া হলে আমি ডিলারশীপ সারেন্ডার করব।’
বাংলাবাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন,‘ শুক্রবার রাত ১টা ২০ মিনিটে বাজারের পাহাড়াদাররা শরিফ উদ্দিনের ঘরে চাল নিতে দেখেছে। ঘটনাটি চাপা রাখতে ডিলার রনি পাহাড়াদারদের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল এবং বিষয়টি গোপন রেখে স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিল। ইউপি চেয়ারম্যানও চেষ্টা করেছিলেন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করতে। এলাকার লোকজন বিষয়টি দিরাই থানার ওসি ও ইউএনওকে অবগত করেছেন। শনিবার শরিফ উদ্দিনের দোকানঘরে ২০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। ’
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন,‘রফিনগর ইউনিয়নের ডিলার কালোবাজারীতে চাল বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই দু’টি দোকানঘর পুলিশ তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছে। আজ আমি নিজে যাব। তবে এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন,‘ রফিনগর ইউনিয়নের ওএমএস ডিলারের কালো বাজারে চাল বিক্রির বিষয়টি জানার পরপরই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’