আসরের শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে বিপিএলের নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই বিতর্ক যেন থামার কোনো লক্ষণ নেই। এবার ইএসপিএন জানিয়েছে, সময়মতো টাকা না পাওয়ায় হোটেলে আটকা পড়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিদেশি ক্রিকেটাররা। এই কারণে দেশেও ফিরতে পারছেন না তারা।
গতকাল শনিবারই বিপিএল থেকে রাজশাহীর বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। খুলনা টাইগার্স তাদের পেছনে ফেলে পৌঁছে গেছে প্লে-অফে। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে খুলনা।
রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হারিস (পাকিস্তান), আফতাব আলম (আফগানিস্তান), মার্ক দেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে) এবং মিগুয়েল কামিন্সরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তাদের বকেয়া টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ২৫% দেওয়া হয়েছে, আবার কেউ কেউ এখনো কোনো টাকা পাননি। এছড়া গত ১১ দিনের দৈনিক ভাতাও পাননি।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়ায় রাজশাহী। সাধারণত টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কিন্তু সেই অর্থ প্রদান না করায় একবার অনুশীলনই বর্জন করেছিল রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। আর বিদেশি ক্রিকেটাররা তো একটি ম্যাচই বর্জন করেন। যদিও পরের ম্যাচে বার্ল ও হারিস খেলেছিলেন।
সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামের টিম হোটেলে ঝামেলায় পড়েছিলেন রাজশাহীর মালিক শফিক। তার রুমের বাইরে বসে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সেসময়। রাজশাহী দল ঢাকায় আসার পর, অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাদের একটি হোটেল থেকে তাদের চেক আউট করতে বাধ্য করা হয়।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য-সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করিনি। আমরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং আর্থিক শক্তি যাচাই করিনি। এটিই এখন আমাদের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
গতকাল দুর্বার রাজশাহীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। বিসিবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমি আজকে (শনিবার) সরাসরি রাজশাহীর মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদেরকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, পারিশ্রমিক সমস্যার সমাধান করবেন। আমরা বলে দিয়েছি, তিনি যদি তা (সমাধান) করতে ব্যর্থ হন বা না করেন, তাহলে পরবর্তীতে আমরা আর কথা বলার মধ্যে থাকব না। আমরা আইনী ব্যবস্থা নেব।’