লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আকাশ চন্দ্র সাহা নামে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পণ্য উৎপাদন করায় ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জামশেদ আলম রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর উপজেলা প্রশাসন জানায়, সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাস টার্মিনাল এলাকায় আকাশ তার মালিকানাধীন অক্ষয় স্টোরে নিন্মমানের ভেজাল শিশু খাদ্য, নকল চাষি ভাই চাল, বর্ণফুল লাচ্ছি সেমাইসহ বিপুল ভেজাল খাদ্য মজুদ-সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে ব্যবসায়ী আকাশকে নিরাপদ খাদ্য আইনে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় তৌহিদুলের মালিকানাধীন বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবহেলা ও অসতর্কতার সহিত পণ্য উৎপাদন করা হয়। এতে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ডা. সুমধু চক্রবর্তী, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ হিল হাকিম, সদর উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তাজুল ইসলাম, কমলনগর উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, ‘ব্যবসায়ী আকাশকে নিন্মমানের ভেজাল পণ্য মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর ব্যবসায়ী তৌহিদুলকে এক সপ্তাহের মধ্যে বেকারির স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও মানসম্মত খাবার উৎপাদনে সময় বেধে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’