ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামত নিয়েই হবে মহাপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৭ বার

তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘২০১৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে মহাপরিকল্পনা অনেক আগেই দেওয়ার কথা ছিল। এখন আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমরা বললাম, এই পরিকল্পনায় কী থাকবে, কী থাকবে না সেটা তিস্তা এলাকার মানুষের মতামত শুনে তারপর করতে হবে। মতামত শোনার প্রক্রিয়া করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পিডব্লিউডি। প্রতিটি গণশুনানিতে উপস্থিত থাকবে পাওয়ার চায়না।’

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জনসম্মুখে তথ্য দেওয়া হয় না বলে মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে কতগুলো ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তি তৈরি হয়। মহাপরিকল্পনাই তো নেই, বাস্তবায়ন হবে কোত্থেকে। পরিকল্পনা তো করতে হবে।।’

তিনি আরও বলেন, ‘চায়নিজ একটি গ্রুপ পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল। যেটা ফিজিবল না, টেকসই না। তাদের সাথে (চায়না পাওয়ার) আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিকল্পনা নতুন করে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, “তারা (পাওয়ার চায়না) যখন মহাপরিকল্পনা রিভাইজ করে দেবে, তাতে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। দুই বছর সময় দিয়েছি, তারা পরিকল্পনা করে দেবে। এরপর প্ল্যানিং কমিশন অ্যাপ্রুভ করবে, তারপর চীন সরকারের কাছে যাবে। এখন জোর দিচ্ছি পরিকল্পনাটা যেন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেয়।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামত নিয়েই হবে মহাপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৭:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘২০১৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে মহাপরিকল্পনা অনেক আগেই দেওয়ার কথা ছিল। এখন আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমরা বললাম, এই পরিকল্পনায় কী থাকবে, কী থাকবে না সেটা তিস্তা এলাকার মানুষের মতামত শুনে তারপর করতে হবে। মতামত শোনার প্রক্রিয়া করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পিডব্লিউডি। প্রতিটি গণশুনানিতে উপস্থিত থাকবে পাওয়ার চায়না।’

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জনসম্মুখে তথ্য দেওয়া হয় না বলে মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে কতগুলো ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তি তৈরি হয়। মহাপরিকল্পনাই তো নেই, বাস্তবায়ন হবে কোত্থেকে। পরিকল্পনা তো করতে হবে।।’

তিনি আরও বলেন, ‘চায়নিজ একটি গ্রুপ পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল। যেটা ফিজিবল না, টেকসই না। তাদের সাথে (চায়না পাওয়ার) আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিকল্পনা নতুন করে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, “তারা (পাওয়ার চায়না) যখন মহাপরিকল্পনা রিভাইজ করে দেবে, তাতে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। দুই বছর সময় দিয়েছি, তারা পরিকল্পনা করে দেবে। এরপর প্ল্যানিং কমিশন অ্যাপ্রুভ করবে, তারপর চীন সরকারের কাছে যাবে। এখন জোর দিচ্ছি পরিকল্পনাটা যেন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেয়।’