ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে ফসলহানি : ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৩২৯ বার

ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে জেলার জামালগঞ্জে হালীর হাওরে ফসলহানির ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ বিভাগীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলীর নাম রয়েছে।

শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থানরত দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জামালগঞ্জ উপজেলা সদর উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাঁক গ্রামের বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের (পাউবো) সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (সম্প্রতি স্ট্যান্ড রিলিজ), উপ-বিভাগীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পিআইসির সভাপতি স্থানীয় বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে পাউবোর কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্রকল্পে ফসলরক্ষা বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামতের কাজ ছিল। ওই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ ছিল অর্ধকোটি টাকার ওপরে।

কিন্তু পিআইসির সভাপতি ও পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

প্রকল্পগুলোর কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা বাঁধের মেরামত কাজ বিলম্বে শুরু করা হয়। যথাসময়ে কাজ না করায় জামালগঞ্জের হালীর হাওরের উৎপাদিত সকল বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

ফলে সকল কৃষক নিঃস্ব ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। যথাসময়ে বাঁধের কাজ না করায় এলাকার কৃষকদের প্রায় দেড়শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চলতি মৌসুমে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ও কোথাও কোথাও বাঁধ না হওয়ায় গত ৩০ মার্চ থেকে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাওয়ার পর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ বোরো চাষি নিঃস্ব হয়ে যায়। জেলাজুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরে ফসলহানি : ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে জেলার জামালগঞ্জে হালীর হাওরে ফসলহানির ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ বিভাগীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলীর নাম রয়েছে।

শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থানরত দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জামালগঞ্জ উপজেলা সদর উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাঁক গ্রামের বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের (পাউবো) সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (সম্প্রতি স্ট্যান্ড রিলিজ), উপ-বিভাগীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পিআইসির সভাপতি স্থানীয় বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে পাউবোর কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্রকল্পে ফসলরক্ষা বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামতের কাজ ছিল। ওই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ ছিল অর্ধকোটি টাকার ওপরে।

কিন্তু পিআইসির সভাপতি ও পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

প্রকল্পগুলোর কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা বাঁধের মেরামত কাজ বিলম্বে শুরু করা হয়। যথাসময়ে কাজ না করায় জামালগঞ্জের হালীর হাওরের উৎপাদিত সকল বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

ফলে সকল কৃষক নিঃস্ব ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। যথাসময়ে বাঁধের কাজ না করায় এলাকার কৃষকদের প্রায় দেড়শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চলতি মৌসুমে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ও কোথাও কোথাও বাঁধ না হওয়ায় গত ৩০ মার্চ থেকে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাওয়ার পর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ বোরো চাষি নিঃস্ব হয়ে যায়। জেলাজুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানায়।