ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনার ধনপুরে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা

একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
  • ২৭৮ বার

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। বিচার বিভাগের ছোট ছোট সমস্যাগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না, বরং তা উল্টোভাবে সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রশাসনকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে- বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিপক্ষ। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। কোনোদিনই বিচার বিভাগ প্রশাসন বা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়নি। আমি আশা রাখব, বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে যারা আছেন, তারা ভুল রিপোর্ট দেবেন না সরকার প্রধানকে। তারা ঠিক রিপোর্ট দেবেন, যাতে বিচার বিভাগ এবং সরকার সুন্দরভাবে চলে।
গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রের দু’টি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় না থাকার সমস্যার দিকটি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকে, তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার এবং এক্সিকিউটিভে যারা আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সভাপতির বক্তব্যে এ কমিশনকে দেশের সবচেয়ে কার্যকরী কমিশন হিসেবে তুলে ধরে নিজস্ব ভবনের দাবি করেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশনটি চালু হওয়ায় দেশে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
আনুষ্ঠানে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব পরেশ চন্দ্র শর্মা। এরপরই প্রধান অতিথি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সবশেষে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনার ধনপুরে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল

একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করছে

আপডেট টাইম : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। বিচার বিভাগের ছোট ছোট সমস্যাগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না, বরং তা উল্টোভাবে সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রশাসনকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে- বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিপক্ষ। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। কোনোদিনই বিচার বিভাগ প্রশাসন বা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়নি। আমি আশা রাখব, বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে যারা আছেন, তারা ভুল রিপোর্ট দেবেন না সরকার প্রধানকে। তারা ঠিক রিপোর্ট দেবেন, যাতে বিচার বিভাগ এবং সরকার সুন্দরভাবে চলে।
গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রের দু’টি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় না থাকার সমস্যার দিকটি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকে, তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার এবং এক্সিকিউটিভে যারা আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সভাপতির বক্তব্যে এ কমিশনকে দেশের সবচেয়ে কার্যকরী কমিশন হিসেবে তুলে ধরে নিজস্ব ভবনের দাবি করেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশনটি চালু হওয়ায় দেশে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
আনুষ্ঠানে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব পরেশ চন্দ্র শর্মা। এরপরই প্রধান অতিথি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সবশেষে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন।