ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) দেওয়া বক্তৃতায় ‘মার্কিন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সামরিক প্রতিষ্ঠা’র আভাস দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সামরিক খাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার পরবর্তী বছরের বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে তার প্রশাসন। বিপরীতে বৈদেশিক মানবিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে কমানো হয়েছে বরাদ্দ। বিগত বুশ ও ওবামা প্রশাসনের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর মতো করেই ট্রাম্প সেই ‘সামরিকতা-নির্ভর নগ্ন সাম্রাজ্যবাদ’-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন। অবশ্য তা সত্ত্বেও ট্রাম্প তার স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন মুক্তবাজার বিরোধিতা এবং আমেরিকা ফাস্ট নামের কথিত সংরক্ষণশীল জাতীয় অর্থনীতির প্রচারণার মধ্য দিয়ে। সাম্প্রতিক বিশ্বধারাকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সমাজতাত্ত্বিক জেরেমি ফস্টার যে যে নগ্ন সাম্রাজ্যবাদের ধারণা দিয়েছেন, কথিত আমেরিকা ফাস্ট নীতির আড়ালে সেই নগ্ন সাম্রাজ্য বাসনার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন।
নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কাল থেকে সেই রিগ্যানযুগের ব্যর্থ ও বিপন্ন নব্য উদারবাদের মুক্তবাজার অর্থনীতির সমালোচনা হাজির করেন তিনি। রক্ষণীশল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বৈষম্যপীড়িত শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখান। অভিষেক ভাষণে নতুন বাণিজ্য কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের বক্তৃতার ধারাবাহিকতায় ২১ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে একটি ‘শক্ত ও ন্যায্য চুক্তি’র কথা বলা হয়। মার্কিন অর্থনীতির উন্নতি ও লাখ লাখ মানুষের চাকরি ফিরে পেতে এই চুক্তিকে কাজে লাগাতে চান তিনি। ট্রাম্পের শপথের কিছু সময় পর দেওয়া হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব দেশ বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করছে এবং আমেরিকান কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পণ্য রফতানি ও বাজার দখল করা এবং মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মুনাফা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ করার নীতি ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। যেসব সামরিক ও অর্থনৈতিক মৈত্রীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-ঘাটতি তৈরি হয় সেসবের বিরোধিতা করছেন তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের প্রথম প্রস্তাবিত বাজেটে পুরনো শাসনামলের ধারাবাহিকতাই দেখা যায় মোটামোটিভাবে বললে। নতুন বাজেটে সামরিক খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। বরাদ্দকৃত সামরিক ব্যয়ের অর্থ যোগাতে বিভিন্ন খাতে ৯ থেকে ২৯ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা খাতেও। সুনির্দিষ্টভাবে স্বতন্ত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার বাজেট সংকোচনের কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার ব্যয় ৩১ শতাংশেরও বেশি কমাতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। সংস্থাটির বাজেট ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার করার কথা বলেছেন তিনি। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যয় ২৮ শতাংশ কমিয়ে ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ এবং কৃষি খাতে প্রায় ২০ শতাংশ করে ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরিসংখ্যানে নজর ফেরাতে গিয়ে দেখা গেছে, মার্কিন বাজেটে বরাবরই বাড়ানো হয়েছে সামরিক খাতের বরাদ্দ। তা যে-ই প্রশাসনের ক্ষমতায় থাকুক না কেন। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সামরিক খাতে ব্যয় কমানোর জনদাবি উপেক্ষা করে বিল ক্লিনটনের সময়ে ২০০০ সালের ৩০২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট দেওয়া হয়। ২০০১ সালের সামরিক বাজেট ছিল ৩১৩ বিলিয়ন ডলারের। প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (জুনিয়র)-এর সময়ে তা লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ২০০২ সালের ৩৫৭ বিলিয়ন ডলার পরের বছর দাঁড়ায় ৪৬৫ বিলিয়নে। ২০০৮ সালে তা দাঁড়ায় ৬২১ বিলিয়ন ডলারে। সামরিক ব্যয় বেড়েছে ওবামার শাসনামলেও। ২০০৯ সালের ৬৬৯ বিলিয়ন ২০১১-তে গিয়ে তার প্রশাসনের ব্যয় দাঁড়ায় ৭১১ বিলিয়নে। অবশ্য মেয়াদের শেষ বছরে ওবামা সামরিক ব্যয় কমিয়েছেন। ২০১৭ সালের বাজেটে সামরিক ব্যয় ছিল ৫৯৬ বিলিয়ন ডলারে। আর এবার ট্রাম্পের প্রথম বাজেটে তার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৫০ বিলিয়ন ডলারে। ওবামার সর্বশেষ বাজেটের চেয়ে ট্রাম্প সামরিক খাতে বরাদ্দ ৩০ বিলিয়ন বেশি রেখেছেন। বৃদ্ধির এই ১০ শতাংশ হারকে স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা আকারে দেখা হচ্ছে না। দেখা হচ্ছে আরও আগ্রাসী হিসেবে।
ওবামার সময় মার্কিন সামরিক বাজেট ‘সন্ত্রাসবাদ’-র বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য ছিল না। মূলত তা ছিল চীন ও রাশিয়াকে লক্ষ্য করে। ওবামার সামরিক বাজেটের বেশির ভাগ ব্যয় হয়েছে সাইবার যুদ্ধ ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী বৃদ্ধিতে। আর বরাদ্দের বেশির ভাগ গেছে নৌ ও বিমানবাহিনীর কাছে। ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতি হাতিয়ার করে রাশিয়াকে কোনঠাসা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরই ট্রাম্প প্রশাসনে সামরিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে ও বাজেটে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিলেন, তিনি রাশিয়া ও চীনকে মোকাবেলায় সামরিক শক্তির ওপরই নির্ভর করবেন। বিপরীতে ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, ওবামার সময়ে মার্কিন সামরিক শক্তিকে খাটো করে দেখা হয়েছে। সামরিক ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি, রাশিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি বাতিল ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত বাণিজ্যিক চুক্তিও পুনর্বিবেচনা করা হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্রাজ্যবাদী নীতি হচ্ছে পণ্য রফতানি ও বাজার দখল করা এবং মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর মুনাফা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ করা। যেসব সামরিক ও অর্থনৈতিক মৈত্রীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে ঘাটতি তৈরি হয় সেসবের বিরোধিতা করছেন ট্রাম্প। ইউরোপীয় দেশগুলোকে ন্যাটোর খরচ বহন করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রতিটি ছোট্ট পদক্ষেপকে বিশ্বে একচ্ছত্র মার্কিন আধিপত্য বিস্তারে ট্রাম্পের সামরিক সাম্রাজ্যবাদের কৌশল মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রধান দুই হাতিয়ার অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি। অতীতে অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে সামরিক পরিকল্পনা গড়ে তোলা হতো। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান শিল্প ও স্থাপনাগুলো আর সামরিকতা পরস্পরের সংলগ্ন হয়ে উঠছে। সম্মিলন ঘটছে দুই হাতিয়ারের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সাম্প্রতিক প্রবণতা বিচার করলে ধীরে ধীরে সংবাদমাধ্যম, ওয়ালস্ট্রিট, বিশেষজ্ঞরা সামরিক শক্তির পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সামরিক শক্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়া এসব থিংকট্যাংক ও বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন। ফলে ট্রাম্প সমর্থকরাও সেদিকে এগোচ্ছেন। এমনকি মার্কিন সেনাবাহিনীও ট্রাম্পকে সমর্থন করছে বলে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক সফলতার জন্য ট্রাম্পের আঞ্চলিক যুদ্ধের নীতি সমর্থন করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। আর ওবামার সময়ে যুদ্ধের বাজেট কমানোর ফলে সিআইএ, নৌ ও বিমানবাহিনী রাশিয়া ও চীনকে সামরিকভাবে মোকাবেলার নীতির পক্ষে। এই দুই দেশের বিভিন্ন মিত্রের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ শুরু করতে চায়। সাংবাদিক ও লেখক জেমস পেট্রাস লিখেছেন, মার্কিন সামরিক সাম্রাজ্যবাদ রাশিয়ার মিত্রগুলোর সামনে বেশ কয়েকটি সংকট নিয়ে হাজির হচ্ছে। ইরান ও লেবাননের সঙ্গে অস্থিতিশীল চুক্তি ও ইউক্রেনের নাটকীয় শান্তিচুক্তিও এসব সংকটের মধ্যে রয়েছে। একই সময়ে এশিয়ার নরডিক-বাল্টিক অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি বৃদ্ধি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা ও ইউক্রেনে সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কাও জাগিয়ে তুলছে। একই সঙ্গে এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও কুয়েত, আফ্রিকার লিবিয়া ও সোমলিয়া, দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান ও শক্তি জোরদার করছে। এসব পদক্ষেপেরই লক্ষ্য হলো, সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনা বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য অটুট ও একচেটিয়া করে তোলা।
ট্রাম্পের সামরিক সাম্রাজ্যবাদী হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণও এই সাংবাদিক তুলে ধরেছেন। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রাম্প বুঝতে পেরেছেন রাশিয়াকে ইউরোপের বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরাজিত করা যাবে না। এর ফলে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চুক্তিতে আগ্রহী হন। যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক, তেল, কৃষি ও বড় ধরনের শিল্পের জন্য সহায়ক। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনা করে ট্রাম্প নিজেকে ‘সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের’ সমর্থক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এসবের ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিশাল ব্যয় ও ব্যর্থ সামরিক অভিযানে আগ্রহী নয়। কিন্তু বিদেশে শিল্প ও ব্যাংকে আগ্রাসনের মাধ্যমে ও কর কমানোর বাসনায় বিশাল সামরিক আয়োজন করেছেন ট্রাম্প। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন পর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ছদ্মবেশে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবেই হাজির থেকেছে, সেখানে আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ প্রকাশ্যে হাজির হচ্ছে সামরিক ঘোষণা জারি করে। জন বেলামি ফস্টার একেই বলেছেন ‘নগ্ন সাম্রাজ্যবাদ।’ ২০০৩ সালে প্রকাশিত নেকেড ইম্পিরিয়ালিজম বইতে বলতে চেয়েছেন: বিশ্বব্যবস্থা ‘নতুন সামরিকবাদ’ ও ‘নতুন সাম্রাজ্যবাদ’-এর আকারে হাজির হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেই বিশ্বজুড়ে তার আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছে। তবে তাদের এই সাম্রাজ্যবাসনার ধরনধারণ স্থির থাকেনি।
২০০৩ সালেই এ্যান্ড্রু বেইস্ভিচের সম্পাদনায় প্রকাশিত প্রবন্ধ-সংকলনদ্যা ইম্পিরিয়াল টেনস্-এ দীপক লাল নামের ব্যক্তি ‘ইন ডিফেন্স অব এম্পায়ারস্’ নামে একটি রচনা হাজির করেন। সেখানে তিনি বলেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ হবে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা। অনেকেই দোষারোপ করে বলেন যে, স্থিতাবস্থার এ-ধরনের পুনর্বিন্যাস সাম্রাজ্যবাদের কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যের তেল নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষাকেই নির্দেশ করবে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্যনীতিতে দীপক লাল-এর ভাবনার প্রয়োগ দৃশ্যমান হয়েছে।
মার্কিন জাতীয় প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের তখনকার প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন রিচার্ড হাস্। পরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রথম বুশের একজন বিশেষ সহকারীর। তখনকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নীতি প্রণয়ন ও পরিকল্পনার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সেই রিচার্ড হাস্ ২০০০ সালের ১১ই নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘পলিসি-পেপার’ পেশ করেন, যার শিরোনাম ‘ইম্পিরিয়াল আমেরিকা’। নীতিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত ওই রচনায় পরিষ্কারভাবে বলা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ‘সনাতন জাতি-রাষ্ট্রের ভূমিকা পালনের পরিবর্তে সরাসরি সাম্রাজ্যের শক্তির চেহারা নিয়ে উপস্থিত হতে হবে’।
ট্রাম্প কি সে পথেই হাঁটছেন?