নারীদের চরম কটূক্তি আর হয়রানি করার পরও বিপুলসংখ্যক নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছে। বিশ্লেষকদের অভিমত, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের কাছে নারী নির্যাতন আর লিঙ্গবৈষম্যের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি, জীবিকা আর অভিবাসী ইস্যু। তাই পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিপুল হারে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, নারী ভোটের ৫৪ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে গেছে। হিলারি পেয়েছেন ৪২ শতাংশ নারী ভোট। আরো দেখা
গেছে, ট্রাম্পকে যেসব নারী ভোট দিয়েছে, তাদের ৫৩ শতাংশ হলো শ্বেতাঙ্গ নারী। এসব শ্বেতাঙ্গ নারীর মধ্যে ৬২ শতাংশ স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি।
নিউ ইয়র্কের সেইন্ট জনস ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডায়ান হেইথ বলেন, ‘নারীদের মধ্যে কোনো ঐক্যই তৈরি হয়নি। ঐক্যের মনোভাব যাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি, তাদের ওপর ট্রাম্পের নারী অবমাননা কোনো ছায়াই ফেলতে পারেনি।’
ট্রাম্প সমর্থক নারীদের সম্পর্কে স্লেট শীর্ষক সাময়িকীতে এল ভি অ্যান্ডারসন এক নিবন্ধে লিখেছেন, বেশির ভাগ শ্বেতাঙ্গ নারী অভিন্ন নারীবাদী ঐক্যে শামিল হতে চায় না। বেশির ভাগ শ্বেতাঙ্গ নারী কেবল একজন ব্যক্তি হতে চায়। আর এ জন্য আমাদের সবাইকে ভুগতে হবে।’
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জেন্ডার স্টাডিজের অধ্যাপক জুলিয়েট উইলিয়াম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে যে বিষয়টা একেবারে প্রথম দিকেই বোঝা গেছে, তা হলো ট্রাম্প ক্ষুব্ধ শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের ভোট নিজের দিকে টানছিলেন।’ -এএফপি।