ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালপুরে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৭৬ হাজার পশু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ২১ বার

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নাটোরের লালপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রায় ৭৬ হাজার গবাদিপশু। ভালো দামের আশায় শেষ সময়ে পশুর যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড় ১১ হাজার ৬৩৭টি, বলদ ৪ হাজার ৭৫৫টি, গাভী ১ হাজার ৯২২টি, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০টি, ছাগল ৪৬ হাজার ২টি, ভেড়া ৬ হাজার ২৬৪টি-সহ মোট ৭৬ হাজার ১৭৬টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, লালপুরে কোরবানির পশুর চাহিদা ৪১ হাজার ১৩৫টি। এবার কুরবানি যোগ্য পশুর কোনো ঘাটতি নেই। বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৫ হাজার ৪১টি পশু যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

উপজেলার কেশবপুর গ্রামের খামারি মাজদার রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমার খামারে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০টি গরু প্রস্তুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশানুরূপ দাম পেলে এবার লাভবান হব।

এছাড়া মহারাজপুর গ্রামের আল-আমিন জানান, এবার গমের ভুষি, খৈল, খড়সহ অন্য খাদ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের। তবুও আশা করি এবার অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো দাম পেলে আমরা লাভবান হব।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহ বলেন, লালপুরের চাহিদা তুলনায় প্রায় ৩৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। খামারিরা ঢাকাসহ সারাদেশে সেগুলো পাঠাচ্ছেন। বাজার স্থিতিশীল থাকলে আশা করি খামারিরা লাভবান হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৭৬ হাজার পশু

আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নাটোরের লালপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রায় ৭৬ হাজার গবাদিপশু। ভালো দামের আশায় শেষ সময়ে পশুর যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড় ১১ হাজার ৬৩৭টি, বলদ ৪ হাজার ৭৫৫টি, গাভী ১ হাজার ৯২২টি, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০টি, ছাগল ৪৬ হাজার ২টি, ভেড়া ৬ হাজার ২৬৪টি-সহ মোট ৭৬ হাজার ১৭৬টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, লালপুরে কোরবানির পশুর চাহিদা ৪১ হাজার ১৩৫টি। এবার কুরবানি যোগ্য পশুর কোনো ঘাটতি নেই। বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৫ হাজার ৪১টি পশু যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

উপজেলার কেশবপুর গ্রামের খামারি মাজদার রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমার খামারে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০টি গরু প্রস্তুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশানুরূপ দাম পেলে এবার লাভবান হব।

এছাড়া মহারাজপুর গ্রামের আল-আমিন জানান, এবার গমের ভুষি, খৈল, খড়সহ অন্য খাদ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের। তবুও আশা করি এবার অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো দাম পেলে আমরা লাভবান হব।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহ বলেন, লালপুরের চাহিদা তুলনায় প্রায় ৩৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। খামারিরা ঢাকাসহ সারাদেশে সেগুলো পাঠাচ্ছেন। বাজার স্থিতিশীল থাকলে আশা করি খামারিরা লাভবান হবেন।