অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমঃ
কোথায় লুকাবে ধর্ষিতা ক্ষত বিক্ষত তার মুখ
মায়ের আছঁলে,ভাইয়ের বগলে
দিয়াশলাইয়ের বারুদে পুড়াবে
চূলার আগুনে,ছাই ভষ্মে
যাবে মিশে পাথরের আখিঁ জলে।
ধর্ষিতাকে কে দেবে আশ্রয়, স্নেহের পরশ
মায়ার হাতছানি,ঘরের তালা চাবি
মুখের আহার,মাথার আছঁল তুলে
কেউ কেউ থুথু ছুঁড়ে
শত অপবাদ তাঁর জন্য বরাদ্ধ।
জানতে চায়া না কেউ
কে এবং কেন করলো সোনার যৌবন চুরি
বিষ ঢেলে দিলো জঠরের ছোট ঘরে
জারি করে না ফতোয়া ধর্ষকের জন্য।
ধর্ষকের কি নেই মা বোন মেয়ে সন্তান
পাষন্ড কি ভাবে নিষ্পাপ ফুলের গন্ধ নিলো শোষে
ভবিষ্যতে সেই ফুলটি যদি হয় তার মেয়ে
দৃশ্যপট কেমন হবে তখন।
কেউ দাঁড়ায় না, চাইলেও পারে না
ধর্ষকের বিপক্ষে ঠোঁট খুলতে ,কিন্তু কেন?
নারী সমাজ মুখ ঘুরালে
জন্ম না দিলে রক্ত জমাট ভ্রুুনের
বধির সমাজ করবে কি তখন।
তথ্য উপাত্তের অভাবে
বিচারকের কলম হাঁটে না ধর্ষিতার পক্ষে
পেশী শক্তির ডান্ডা তুলে পথ আগলে দাঁড়ায় ধর্ষক
লেজ গুটিয়ে সত্য বাবু পালন করে নীরবতা
আইন খুলে না পাঁচ আঙ্গুলের নথি ফিতা।
কি ভাবে পাবে সুবিচার ধর্ষিতা
কেন আকাশ বাতাসে ভাসবে ধর্ষিতার কান্না।