ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ১০ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ ১০ সেপ্টেম্বর, রোববার ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি কর’।

বেসরকারি সংস্থার গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৩৬১ শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছেন।

এদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন, যাদের ২৬ শতাংশই অভিমান থেকে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে এদের ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর বয়স ১৯ বছরের নিচে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত কার্যক্রম না থাকায় আত্মহনন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় জোর দিয়েছেন তারা।

বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০২১ সালে দেশে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। সেখানে গত বছর তা পাঁচগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩২ জনে। আর চলতি বছর আত্মহত্যা করেছেন ৩৬১ জন।

আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, চলতি বছর আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্কুলগামী শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। ১৬৯ জন (প্রায় ৪৭ শতাংশ)। এ ছাড়া কলেজগামী ২৬ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৮ শতাংশ এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থী রয়েছে ৮ শতাংশ।

বিভাগ অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশিআত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ৩১ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেটে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার রোগীদের কী পরিমাণ রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছে কিংবা বাইরে থাকছে, সেই বিষয় সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই ।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, দেশের ২১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসছেন ১০ শতাংশেরও কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবারে বাবা-মায়ের সম্পর্কে অস্থিরতা, টানাপোড়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ না থাকা, চলমান সামাজিক অস্থিরতা, কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও স্থানীয় পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে।

আত্মহত্যা মোকাবিলায় জরুরি হলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো। সর্বশেষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ ১০ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস

আপডেট টাইম : ০১:২১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ ১০ সেপ্টেম্বর, রোববার ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি কর’।

বেসরকারি সংস্থার গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৩৬১ শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছেন।

এদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন, যাদের ২৬ শতাংশই অভিমান থেকে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে এদের ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর বয়স ১৯ বছরের নিচে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত কার্যক্রম না থাকায় আত্মহনন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় জোর দিয়েছেন তারা।

বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০২১ সালে দেশে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। সেখানে গত বছর তা পাঁচগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩২ জনে। আর চলতি বছর আত্মহত্যা করেছেন ৩৬১ জন।

আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, চলতি বছর আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্কুলগামী শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। ১৬৯ জন (প্রায় ৪৭ শতাংশ)। এ ছাড়া কলেজগামী ২৬ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৮ শতাংশ এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থী রয়েছে ৮ শতাংশ।

বিভাগ অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশিআত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ৩১ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেটে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার রোগীদের কী পরিমাণ রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছে কিংবা বাইরে থাকছে, সেই বিষয় সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই ।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, দেশের ২১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসছেন ১০ শতাংশেরও কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবারে বাবা-মায়ের সম্পর্কে অস্থিরতা, টানাপোড়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ না থাকা, চলমান সামাজিক অস্থিরতা, কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও স্থানীয় পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে।

আত্মহত্যা মোকাবিলায় জরুরি হলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো। সর্বশেষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা।