রাত পোহালেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্কে। দেশটির স্থানীয় সময় রোববার (১৪ মে) সকাল ৮টা থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫ ব্যালট বক্স দেশটির বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। তুরস্কের ভোটাররা আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।
এবারের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচদারোলু ও সিনান ওগান।
দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এরদোয়ান। সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট-প্রধান ব্যবস্থা চালু করেছেন। কড়াহাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করেছেন। ইউরোপ তথা বিশ্ব যেন তুরস্ককে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয় সেই চেষ্টা করেছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে কার্যত তেমন কোনো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েননি তিনি। কিন্তু এবার পড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট থাকার ক্ষেত্রে এরদোয়ানের পথে প্রধান কাঁটা হলো, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ। শুধু যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তা নয়, দেশটির অর্থনীতিও সংকটে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথা না শুনে এরদোয়ান নিজের আর্থিক নীতিতে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে সংকট আরও বেড়েছে। তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে মানুষের জীবনে, কর্মসংস্থানে।
তাছাড়া গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে পরপর দুটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যান। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের অবহেলায় হাজার হাজার ভবন নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছিল, যেগুলো ধসে পড়ায় এই বিপুল প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী যেভাবে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সরকারের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল, সেটিও হয়নি। পরে উদ্ধারকাজে দেরির জন্য এরদোয়ান নিজেই জনগণের কাছে ক্ষমা চান।