জিডিপির পার্থক্য ৩ শতাংশ হলেও সমস্যা নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী

বিশ্বব্যাংক বলেছে বিভিন্ন কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। যেখানে সরকার বাজেটে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। পার্থক্য ২ শতাংশের বেশি-এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এটা হতে পারে। তারা তাদের মত দিয়েছে। আমরা তথ্য উপাত্ত নিয়ে চূড়ান্ত হিসাব করি। তাই পার্থক্য ৩ শতাংশও হতে পারে। এটা মরণফাঁদ নয়।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শের-ই বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এর আগে বলেছিলাম মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সেই ধারাবাহিকতায় মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে আল্লাহ বাঁচিয়েছে যে তা ১০ শতাংশ হয়নি।

এদিকে এডিবি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

সরকারের সঙ্গে ভিন্নতা কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড . শামসুল আলম বলেন, সরকার নেতিবাচক তথ্যে আক্রান্ত। বিশ্বব্যাংক সব সময় এক দুই শতাংশ কম করে প্রবৃদ্ধির কথা বলে। শেষে আমাদেরটাই ঠিক হয়। কারণ, তারা অনুমান করে প্রাক্কলন করে। আর আমরা তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে তার প্রতিফলন ঘটাই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্চ ও এপ্রিলে একটু মুল্যস্ফীতি বাড়ে। এরপর কমতে পারে। তবে এটা দ্বিতীয় অঙ্কে যাবে কি না এখনই বলা যাবে না। কারণ, সৌদি আরব ও রাশিয়া আবার তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তেলের দাম বাড়লেতো সব কিছুর দামও বাড়ে। তখন মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর