ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

প্রাথমিকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৯১ বার

১৩ বছর পর প্রাথমিকস্তরের পঞ্চম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৬ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষার ফলের মাধ্যমে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী এবার ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলা ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে দেওয়া হবে।

সাধারণ গ্রেডে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক ৩ জন ছাত্রী হিসেবে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টার মধ্যে বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত দুই পদ্ধতিতে উত্তর দিতে বলা হয়। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ লিখিত ও ৬০ শতাংশ এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চালুর পরই বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সভা করে খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে। চলতি মাসের (জানুয়ারি) মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রাথমিকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী

আপডেট টাইম : ০১:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

১৩ বছর পর প্রাথমিকস্তরের পঞ্চম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৬ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষার ফলের মাধ্যমে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী এবার ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলা ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে দেওয়া হবে।

সাধারণ গ্রেডে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক ৩ জন ছাত্রী হিসেবে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টার মধ্যে বহু-নির্বাচনী এবং লিখিত দুই পদ্ধতিতে উত্তর দিতে বলা হয়। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ লিখিত ও ৬০ শতাংশ এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চালুর পরই বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সভা করে খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে। চলতি মাসের (জানুয়ারি) মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।