শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: শূন্যপদে আবেদন শুরু কাল

শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা আগামীকাল প্রকাশিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে লগইন করে শূন্যপদের সংখ্যা দেখা যাবে। সেই সঙ্গে এ দিন থেকেই আবেদন শুরু হবে। যা চলবে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে স্কুল-কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮ এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৮৮২।

বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) প্রবেশ পর্যায়ে (Entry Level) নিম্নবর্ণিত শূন্যপদ পূরণের লক্ষে শিক্ষক হতে আগ্রহী নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের নিকট থেকে অনলাইন আবেদন (e-Application) আহ্বান করা হয়েছে।

আবেদনকারীর যোগ্যতা: আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে। এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। (কাম্য শিক্ষা যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য NTRCA-এর ওয়েবসাইটের ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামক সেবা বক্সে Click করতে হবে)

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং তদনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্ত হলে উক্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবেদনকারীর বয়স: প্রার্থীর বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি (চল্লিশ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের Choice (পছন্দ) দিতে পারবেন।

এসব পছন্দ দেওয়ার পর কোনও প্রার্থী যদি তার ‘Choice’ বহির্ভূত দেশের যেকোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে।

প্রার্থীর আবেদনে বর্ণিত Choice এর প্রেক্ষিতে প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে ফলাফল Process করা হবে। যদি কোনও প্রার্থী তার Choice অনুযায়ী কোনও প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হন এবং তিনি যদি Other Option for Yes Click করেন, সেক্ষেত্রে শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে দেশের যেকোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের নিমিত্ত ফলাফল Process করা হবে। প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

যে সকল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থী নেই, যে সকল প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় সে সকল পদে পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।

কোনও প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না। সকল আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি প্রদান না করলে আবেদনটি বাতিল হবে।

আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়: (ক) e-Application পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরুর তারিখ ও সময় ২৯/১২/২০২২ বেলা ১২টা। e-Application জমা প্রদানের শেষ তারিখ ও সময় ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা। উক্ত তারিখ রাত ১২টা থেকে শুধু Application ID প্রাপ্ত প্রার্থীগণ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ০১/০২/২০২৩ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত SMS এর মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর