হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেবা প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম দিনরাত আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত। ইসলামি এই জনকল্যাণ সংস্থাটির বহুমুখী কার্যক্রম মানুষের অনুদান, যাকাত, ফেতরা, ছদকা দান এবং নানামুখী সাহায্যই আঞ্জুমানের চালিকা শক্তি। যুগ যুগ ধরে আঞ্জুমান ঢাকা মহানগরীতে রোগীদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান এবং জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ লাশ পরিবহনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ব্যবস্থা করছে। মুসলিম বে-ওয়ারিশ লাশ দাফন ও অসমর্থ লোকের লাশ দাফনে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
ইতিহাসের এক পটভূমিতে মূলত বেওয়ারিশ লাশ দাফন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। সেই অতিক্রম করে এসেছে মানুষ। কিন্ত মৃত্যু থেমে নেই। যদিও কিছু কিছু মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। অনেক মৃত্যুর সময় স্বজনরা কেউ থাকে না পাশে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় অনেকে। কখনো কখনো এ মৃত্যুর খবর পায় না প্রিয়জন। মর্গে দিনের পর দিন পড়ে থাকে লাশ। আবার এমনও মানুষ আছে দেখা যায় তার কোনো স্বজনও নেই। নেই লাশ দাফনের মানুষও। শত বছরের বেশি সময় ধরে এসব বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে যাচ্ছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
অপরদিকে মোহাম্মদপুরস্থ সেবা সংস্থা আল মারকাজুল ইসলামীও বৈশ্বিক করোনা মহামারিত আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন করে সুনাম অর্জন করেছে। প্রথম দিকে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ পরিবারের স্বজনরাও দাফন কার্যক্রমে এগিয়ে আসেনি। ওই সময়ে তারা বিশেষ ব্যবস্থায় এসব লাশ দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এছাড়া সেবা সংস্থা আল রশিদ ফাউন্ডেশনও করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করেছে।
যে সমস্ত বিত্তশালী ব্যক্তির ছেলে মেয়েরা এমনকি আত্মীয়-স্বজন শেষ বয়সে তাদের খবর নেন না, তারা নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করলে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্জুমান ইসলামিক শরিয়াহ মতে দাফনের ব্যবস্থা নেয়। আঞ্জুমান ঢাকায় দাফন সেবা প্রকল্পের আওতায় এই কাজটি করে থাকে।