নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি শুধু চাল-গমে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই খাদ্যনিরাপত্তা নয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখন গ্রীষ্মকাল, জ্যৈষ্ঠ মাস। ইংরেজি মে মাস। গত মাসেই আমরা বাঙালির নববর্ষ পালন করেছি। এরপর ছিল পবিত্র রমজানের ঈদ। এ দুই উপলক্ষ্যে আনন্দের কোনো সীমা ছিল না।

 কারণ শুধু নববর্ষ ও ঈদ উৎসব নয়। কারণ ছিল দুবছর পর আমরা প্রায় করোনামুক্ত দেশে দুটি উৎসব আনন্দ-কোলাহলে কাটাতে পেরেছি। আগের দুবছর কেটেছে আতঙ্ক, ভয়, আশঙ্কা আর প্রাণহানির খবরে। অর্থনীতি ছিল বিপর্যস্ত। মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছেন, কর্মচ্যুত হয়েছেন, পুঁজি ভেঙে, সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন। আর প্রার্থনা করেছেন করোনামুক্ত হওয়ার জন্য।

এ কারণে ১৪২৯ বাংলা সালটি এসেছে খুবই আশার মধ্য দিয়ে। নববর্ষের অর্থনীতি, ঈদ অর্থনীতি ছিল জমজমাট। শুধু শহর নয়, গ্রামের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পও দুই উৎসবে জেগে ওঠে। জামাকাপড়, পোশাক-পরিচ্ছদ, জুতা-মোজা, প্রসাধনসামগ্রী, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার, আসবাবপত্র নয় শুধু, প্রাণ ফিরে পেয়েছিল ফুল ও মিষ্টির বাজার। বেচাকেনা ছিল উল্লেখযোগ্য।

কারও কারও মতে, দুবছরের লোকসান ব্যবসায়ীরা পুষিয়ে নিয়েছেন। পরিবহণ ব্যবসা, পর্যটন ব্যবসা, হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা, বিমান পরিবহণের ব্যবসা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ছিল নতুন একটা জোয়ার। হাজার হাজার মানুষ পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করেছেন, অনেকে বিদেশে গেছেন। শহর থেকে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে গেছেন। সঙ্গে গেছে প্রচুর ‘ক্যাশ’। গ্রামীণ অর্থনীতি পুনর্জাগরিত হয়েছে।

মাটির পুতুল, খেলনা, তৈজসপত্র, তালপাখা, মাথায় টুপি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বাজার জমে উঠেছে। এমনকি স্বর্ণের অলংকারের বাজারে পর্যন্ত উৎসবের ঢেউ লেগেছে। খুশি, আনন্দ, ফুর্তির কোনো কমতি ছিল না। এ বাজারে বিদেশে বসবাস ও উপার্জনরত বাঙালির টাকা মদত জুগিয়েছে। বেতন-ভাতা-বোনাসের টাকা যোগ হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন রোজগার ও সঞ্চয়ের টাকাও বাজারে যোগ হয়।

শুধু বিদেশ থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সই ছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোটের চাহিদা মেটায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সব মিলে কত টাকার বাজার, তা শুধুই অনুমানসাপেক্ষ। লক্ষাধিক কোটি টাকার লেনদেন তো বটেই। বলাই যায়, এর চেয়ে অনেক বেশি টাকার ব্যবসা করেছে দোকানদার, পাইকার ও আমদানিকারকরা। সয়াবিন তেল, খেজুর, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, লবণ, রসুন, মসলাপাতির বাজারেই তো হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সব জিনিসের দাম ছিল উঁচুতে।

সয়াবিনের দাম প্রতিদিন বেড়েছে। বাজার থেকে মূল্যবৃদ্ধি করেই শুধু কয়েকশ কোটি টাকা পকেটস্থ করেছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। সারা বছরের ব্যবসা তারা করেছেন। বাকি আছে সামনের পবিত্র কুরবানির ঈদ। সে উপলক্ষ্যে হবে অন্য ধরনের ব্যবসা। অবশ্য ইতোমধ্যেই আরেক ব্যবসা জমে উঠেছে। বলা যায়, এটা বিশাল মৌসুমি ব্যবসা। আমি কোন ব্যবসার কথা বলছি, পাঠকরা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন। না, চাল-ডালের ব্যবসার কথা বলছি না, বলছি না রমরমা ওষুধের ব্যবসার কথা। আমি বলছি ফল-ফলাদির ব্যবসার কথা।

বৈশাখ পেরিয়ে আমরা জ্যৈষ্ঠ মাসে পড়েছি। একে ‘মধুমাস’ও বলা হয়। আজ হচ্ছে জ্যৈষ্ঠের ৭ তারিখ। আমাদের প্রধান ধানি ফসলের সিংহভাগ কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। কোথাও কোথাও উজানের ঢল বোরোর ক্ষতি করেছে। তবু বলা যায়, বোরোর ফলন ভালোই হবে দিনশেষে। এটা বর্তমান বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতিতে, খাদ্যনিরাপত্তা রক্ষায় কাজে লাগবে। দিন দিন আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়ছে।

আমাদের আমদানির উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেন এখন অনিশ্চিত। প্রতিবেশী ভারত প্রচণ্ড খরায় আক্রান্ত হয়ে চাল-গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। অতএব, বোরো আমাদের প্রধান বল। বাকি দুটি হচ্ছে আউশ ও আমন। ধান-চাল গম-এ তিনটি হলেই তো শুধু আমাদের চলবে না, লাগবে পুষ্টি। পুষ্টির বড় অভাব আমাদের। পুষ্টির অভাবে আমাদের শিশুরা ভুগছে। তারা হচ্ছে খর্বকায়। সে জন্য আমাদের ধান-চাল গমের পর লাগবে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজি ইতাদি।

এসব এখন মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়। আমদানির প্রয়োজনীয়তা কিছু আছে, তবে খুব মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু এসবের পর লাগে ফলমূল। ভীষণ দরকার। এ ফলমূলের মৌসুমই এখন, বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠ মাস। বৈশাখেই ফল বাজারে আসতে শুরু করে আজকাল। বলা যায়, জৈষ্ঠেই বাজার সয়লাব ফলমূলে। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের সময় এখন। ঢাকার আশপাশ অঞ্চলে প্রচুর কাঁঠাল হয়। কাঠালের পুষ্টিগুণ প্রচুর, অথচ দামে তুলনামূলক সস্তা। জ্যেষ্ঠ অর্থাৎ এ মধু মাসে ফলমূলের বাজারের আকৃতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে এ মাসে। বৈশাখে যে ব্যবসা হয়েছে, জ্যৈষ্ঠ তা নয়। এ ব্যবসার আকার, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা। পচনশীল ফলমূলের ব্যবসা হবে জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ়ে। আষাঢ় পড়বে বর্ষাকালে-ঋতুতে যার রূপ-গুণ-বৈশিষ্ট্য আবার সম্পূর্ণ আলাদা। যে ফলমূলের ব্যবসা এ মাসে জমজমাট হবে সেগুলো হচ্ছে : তরমুজ, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, আনারস, পেয়ারা, বাঙ্গি, পানি ফল, লটকন ইত্যাদি।

এ মুহূর্তে বাজারে বেশি তালের শাঁস, তরমুজ। বিশেষ এক ধরনের আমও উঠেছে-পাকা আম। কাঁচা আম উঠেছে অনেক আগেই, যা দিয়ে শুধু ভর্তা খাওয়া হবে না, হবে সুস্বাদু আচারও। বেলও উঠেছে চৈত্রের শেষ থেকে, যা হজমে কাজে লাগে। বরইয়ের মৌসুম শেষ হয়েছে। আমদানিকৃত আপেল, আঙুর, বেদানা-নাশপাতির কথা হচ্ছে না। এসব, বলা যায়, সারা বছরই পাওয়া যায়। আমাদের নিজস্ব ফলমূলের সংখ্যাই ছিল ৫৬টির মতো।

নতুন জাতের ফল হয়েছে আরও ১৬ রকমের। এমন ৭০-৮০ ধরনের ফল আমাদের আছে। বছরে এর মোট চাহিদা কত। একটি হিসাবে দেখলাম, বছরে আমাদের ফলের চাহিদা ৬০ লাখ টন। কারও কারও মতে আরও বেশি। অথচ উৎপাদন মাত্র ৩০ লাখ টন। বিশাল ঘাটতি বিরাজমান। নতুন জাতের ফল যোগ হওয়ার পরও। দেখা যাচ্ছে, কাঁঠাল যেমন আমাদের জাতীয় ফল, তেমনি আম হচ্ছে আরেক প্রিয় ফল, যা মোটামুটি দুমাস পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। সবচেয়ে কম সময়ের জন্য পাওয়া যায় লিচু। দিনাজপুর, রাজশাহীর লিচু সবচেয়ে উপাদেয়-এসবের চাহিদাও প্রচুর।

ইদানীং ঢাকার পাশে সোনারগাঁয়েও বেশ লিচু হচ্ছে। এর বাজারও বড়। একমাত্র সোনারগাঁয়ে যে লিচু হয়, তা বিক্রি হয় ৩০-৪০ কোটি টাকার। এই লিচু বাজারে আসে আগে, বেশ রসালো। এ অঞ্চলে মোট পাঁচ জাতের লিচু চাষ করেন কৃষকরা। দুবছর গেছে তারা লোকসানে। এবার আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। দিনাজপুর, রাজশাহী, ঈশ্বরদী থেকে লিচু আসার আগেই তারা তাদের লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা চাষিদের।

লিচুর সঙ্গে কাঁঠালের ব্যবসা বেশ জমজমাট। দাম বেশ ভালো। কাঁঠাল বস্তুত উঠতে শুরু করে চৈত্র মাস থেকেই। কচি কাঁঠালের ব্যবহার সবজি হিসাবেও হয়। ‘ইচর’ তৈরি করেন গৃহিণীরা, যা খুবই সুস্বাদু। কাঁঠালের নানা ধরনের ‘প্রিপারেশন’ও আছে। মানুষের মুখে মুখে অবশ্য ফলের রাজা আম, যা ইতোমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে, বিশেষ করে রাজশাহী, দিনাজপুরের আম। বস্তুত রাজশাহী, দিনাজপুর ও সাতক্ষীরা ইত্যাদি অঞ্চলের আমই বেশি। আম্রপালি আম অবশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামেও ইদানীং হয়।

আমের চাহিদা দেখে আম চাষিরা অপুষ্ট অবস্থায় গাছ থেকে আম পেড়ে বাজারজাত করে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী-আড়তদার-পাইকার এ কাজে মদত জোগায় অতিরিক্ত মুনাফার লোভে। এখন থেকে এ কাজ বন্ধ। প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তা বন্ধ করা হয়েছে। কোন আম কখন, কত তারিখ থেকে গাছ থেকে পাড়া যাবে তা এখন নির্দিষ্ট করা। সাত-আট ধরনের আমের বেলায় তা প্রযোজ্য, যদিও আমের জাতের সংখ্যা অনেক এবং এদের নামও সুন্দর সুন্দর।

যে আমগুলো আগামী দেড়-দুই মাসের মধ্যে বাজারে আসবে উত্তরাঞ্চল থেকে, সেগুলো হচ্ছে : গুটি, গোপালভোগ, রানীপছন্দ, লক্ষ্মীভোগ, হিমসাগর, ক্ষীরসাপাত, লেংড়া, আম্রপালি, ফজলি, আশ্বিনী, গৌরমতি ইত্যাদি। কাগজে দেখলাম, এ বছর ১৮,৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। রাজশাহী শহরাঞ্চলসহ নয়টি উপজেলায় আমের চাষ বেশি। বলা হচ্ছে, এখানে প্রায় সোয়া দুই লাখ টন আম উৎপাদিত হবে। আম শুধু উৎপন্ন ও ভোগ হয় না। আম এখন রপ্তানিও হয়। শুধু আম বলি কেন, সব ধরনের ফলই এখন রপ্তানি হয়।

বিশেষ করে যেসব দেশে বাঙালিরা কর্মরত, সেসব দেশে বেশ ভালো পরিমাণ ফল রপ্তানি হয়। ফল আবার আমদানিও হয়, আগেই বলেছি। তবে সুখবর এই যে, ফল আমদানি ক্রমহ্রাসমান। ফলের ঢাকাস্থ প্রধান বাজার হচ্ছে ওয়াইজঘাট। এ ব্যবসাটিও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতো সীমিতসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং তাদের হাতে জিম্মি। দেশি ফলের একটা সুবিধা আমাদের আছে। ফলগুলো সাধারণভাবে ‘অর্গানিক’, যদিও কীটনাশক ইদানীং বেশি হারে ব্যবহার হতে শুরু করেছে, যা অশনিসংকেত।

ফল চাষে আমাদের কিছু সমস্যা আছে। প্রথমটা হচ্ছে মানসিক। খাদ্যনিরাপত্তা বলতে যে শুধু চাল-গমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়, তা আমাদের অনেকের বোধে আসে না। আমরা চাল-গমে অনেক বেশি নির্ভরশীল। শাকসবজি, তরিতরকারি, দুধ, মাছ, মাংস, ডিম ও ফল-ফলাদিও যে খাদ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, তা আমরা হিসাবে নেই না। ফলে ধানের ফলন বৃদ্ধির জন্য আমরা যে প্রস্তুতি নেই, সুযোগ-সুবিধা প্রদান করি, তার ছটাকও ডেইরি পণ্য, শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদনে দিই না।

এর ফল হচ্ছে, ধান উৎপাদন যথেষ্ট বেড়েছে; কিন্তু চালের ওপর নির্ভরশীলতা খুব বেশি কমেনি। বড় কথা, কৃষি এখনো বাণিজ্যিক চাষাবাদের বাইরে। বেশিরভাগটা ব্যক্তিগত উদ্যোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিনিয়োগ কৃষি ও সবজি-ফলমূলে খুবই কম। এখন যাও কিছুটা শুরু হয়েছে, আমাদের ছোটবেলায় তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। মূলত ধান, চাল ও পাটই বাজারে বিক্রি হতো। মাছ বিক্রি কিছু ছিল। মাংস বিক্রি গ্রামের বাজারে ছিল অতি সামান্য। শাকসবজি, ফলমূলের বাজারও তা-ই। এসবকে বেশিরভাগ কৃষক ও অন্যরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভোগের জিনিস মনে করত।

মজা হচ্ছে, শাকসবজি যাই হোক, ফল-ফলাদি ছিল রোগীর পথ্য, বিশেষ করে আঙুর, বেদানা, আপেল। দেশি ফল আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু ইত্যাদি বেশি জনপ্রিয় ফল বাজারে আসত কম। অনেকেরই বাড়িতে ছিল এসব ফলের গাছ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বাড়িতে। তাদের বাড়িতে একটা ফুল গাছের বাগান থাকত, আর থাকত ফলের গাছ। গ্রামের লোকেরা, প্রতিবেশীরা অনেক ক্ষেত্রেই এসব ফল বিনা পয়সায় ভোগ করতেন। মধ্যবিত্ত ভাবত না যে এসব বাজারে বিক্রি হয়। পুকুরের মাছ খাওয়ার জন্যই, বিক্রির জন্য নয়। অবশ্য গরিবের সংখ্যা তখনকার দিনে (১৯৫০-৬৫) ছিল বেশি। তাদের যেহেতু পুকুর নেই, ফুল ও ফলের বাগান নেই, সেহেতু তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য ছিল না। তাদের সমস্যা ছিল ভাত।

আজকের দিনের সমস্যা ভিন্ন রকমের। শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম অনেক ক্ষেত্রেই কিছু পরিমাণে বাণিজ্যিকভিত্তিতে তৈরি/উৎপন্ন হয়। তবে বাজারজাতকরণের প্রধান সমস্যা গুদামজাতকরণ। আগের দিনে বেশিরভাগ শাকসবজি, ফলমূল নষ্ট হতো। ফ্রিজ, কোল্ডস্টোরেজের অভাবে। এখন এ সমস্যা কিছুটা কেটেছে। কৃষকরা সচেতন হচ্ছে। এসবের বাজার বড় হচ্ছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আগামী দিনে কী হয় তাই দেখতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর