সম্পদ গোপন রাখতে আমলারা একাট্টা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও দু’চারজন ছাড়া কেউ ‘সম্পদের হিসাব’ জমা দেননি। আবার প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু নির্দেশনার প্রায় এক বছর হতে চললেও কেউ সম্পদের হিসাব জমা দেননি। মন্ত্রী-এমপিদের মতোই আমলারাও নিজেদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি করছেন। কারণ অনেক সরকারি কর্মকর্তার সম্পদের পরিমাণ এত বেশি হয়ে গেছে যে শত বছর চাকরি করেও এত অর্থের মালিক হওয়া সম্ভব নয়। কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘কানাডায় যারা বাড়ি করেছেন তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের চেয়ে আমলার সংখ্যা বেশি।’ জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার লক্ষ্যে নতুন করে বিধি করা হচ্ছে। উল্লেখ ২০১৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা নেয়া হয়েছিল।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণি জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ দু-একটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ, অধিদফতর কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও নতুন করে এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু আমলারা নিজেদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে আগ্রহী নন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (শৃঙ্খলা ও তদন্ত) সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি ৫ বছর পর পর বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব দেয়ার বিধান রয়েছে। সে কারণে গত বছর প্রথম চিঠি দেয়া হয়েছে। এবছরে চলতি ৫ মার্চ আবারো একটি চিঠি দেয়া হয়েছে সকল মন্ত্রণালয়কে।

জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান  বলেন, কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান আগেও ছিল, এখনো আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তারা যেন হিসাব জমা দেন, তা জনপ্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিসমূহ কার্যকরভাবে অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বরে বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারির প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার কোনো তাগিদ নেই।

কিভাবে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেয়া হবে নতুন করে একটি কমিটির বৈঠক করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিচ্ছি। সেটা কোন প্রক্রিয়া নেওয়া হবে তার জন্য নতুন একটি আদেশ জারি করা হতে পারে। সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের সম্পদের হিসাব দেননি। অফিস আদেশে হিসাব দেয়ার সময়সীমা বেঁধে না দেয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অনেকটা গোপনে রাখতে চায় প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তারা।

সরকারি চাকরিজীবীদের স্বচ্ছতার বিষয়ে সচেতন করতে হলে সম্পদ বিবরণী জমা নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সব জনপ্রতিনিধির সম্পদের হিসাবও সময়ে সময়ে নিতে হবে। তা হলে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা আসবে। তবে এ কাজ একদিনেই সম্ভব নয় বলে মনে করেছেন প্রশাসন বিশেষকরা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মতো দফতরগুলোও সম্পদের হিসাব নেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক নয়। এসব দফতরই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। তারা যদি বিধিবিধান বাস্তবায়নে আন্তরিক না হয়, তা হলে অন্যরা আন্তরিক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং আগে মূল দফতর/সংস্থা গুলোকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আমরা প্রতিবছরই আয়কর জমা দিই। সেখানেই সবার সম্পদের তথ্য থাকে। সুতরাং আলাদা করে হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তারপরও প্রত্যেক দফতর সংস্থার প্রধান চাইলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের হিসাব দিতে বাধ্য। কিন্তু শীর্ষ কর্মকর্তারাই এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেন না। ফলে কেউই হিসাব দিতে আগ্রহী হন না বলে জানান তারা। বর্তমান আচরণ বিধিমালা অনুযায়ীই সবার সম্পদের হিসাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই সম্পদের হিসাব দিতে আগ্রহ দেখান না। তারা এ বিষয়টিকে হয়তো ভয় পান।

এ বিষয় সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজ’র সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনে কর্মকর্তারা যেভাবে বিধি-বিধান নষ্ট করে দুর্নীতিতে লিপ্তি। সে কারণে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছে না। শ্রীলঙ্কার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য তাদের এ অবস্থা। চরম সঙ্কটে পড়েছে দেশটি। আমি আশা করছি এটা আমাদের দেশে ঘটবে না। সরকার পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হিসাব দিতে বাধ্য। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সম্পদ বিবরণীর হিসাব নেওয়া খুবই জরুরি। আইন কিংবা বিধিবিধান করা হয় স্বচ্ছতার জন্য।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণাপলয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বরে বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের হিসাব দেয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এ এই বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি কখনোই। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনীহার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ এই বিধি বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে অন্ধকারেই রয়েছে সরকার। প্রশাসনের একদম উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্নপদের কর্মচারীরাও সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন না। ফলে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আচরণ বিধিমালা মূলত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিসাব নিচ্ছে না। তারা যদি নিজেরা সম্পদের হিসাব নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহ চালু রাখত, তা হলে অন্যরা তাদের অনুসরণ করত। কিন্তু গোড়াতেই গলদ রয়েছে।

২০২১ সালের ২৪ জুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী নিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ দু-একটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ, অধিদফতর কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশ দেয়। আর বাকিদের কোনো খবরই নেই। তারা এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেয়নি বলে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (শৃঙ্খলা-৪) নাফিসা আরেফীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা আছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উলিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

এমতাবস্থায় ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দফতর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণীর ডেটাবেজ তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পদের হিসাব নেয়ার তাগিদ দিয়ে চিঠি দিলেও তারা নিজেরাই নিজেদের মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের হিসাব নিতে পারেনি। যারা আদেশ দেন তারাই যদি বাস্তবায়ন না করেন, তা হলে অন্যরা বাস্তবায়ন করবেন কোন দুঃখে! এটা ঠিক করবে জনপ্রশাসন। তারা নির্দেশনা দিবেন। তা সকল মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পর গত এক বছরে চলতি মাস পর্যন্ত নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্পদ বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদের সংস্থাপন অধিশাখায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীও তাদের সম্পদের হিসাব দেননি বলে জানা গেছে।

জনপ্রশাসনের চিঠির গত এক বছরেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। শুধু জনপ্রশাসনের চিঠিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন দফতর সংস্থায় নামকাওয়াস্তে পাঠানো হয়েছে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে কঠোর কোনো অবস্থান নেওয়া হয়নি। ফলে ওই চিঠির গুরুত্বই হারিয়ে গেছে বলে মনে করছে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা। এদিকে গতবছরে চিঠির তেমন সাড়া না পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারো চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আমরা চিঠি দিয়ে সম্পদ বিবরণী নিতে সংশিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিসাব নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করবে। যাদের অস্বাভাবিক সম্পদের সন্ধান মিলবে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। দুদকেও মামলা হবে। দুদক স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান করে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর হিসাব যাচাই করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবারটা হয়তো সম্ভব হবে না। যাদের সম্পদ অস্বাভাবিক মনে হবে, তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বিস্তারিত অনুসন্ধান করবে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হয়েছিল। ১৭ হাজার ২০৮ জন কর্মচারী সম্পদের হিসাব বিবরণী দিয়েছিলেন। তবে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

বিভাগীয় মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ জন তাদের হিসাব দিতে পারেননি। তবে জমা পড়া হিসাবগুলোও ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি। অর্থাৎ কোনো কর্মচারীর অস্বাভাবিক সম্পদ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেনি ভূমি মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হওয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নিতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেককে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরের কাছে প্রতি পাঁচ বছর পর ডিসেম্বরে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে সরকারের সব কর্মচারী-কর্মকর্তাই এ নির্দেশ অমান্য করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মিসবাহুল আনওয়ার ইনকিলাবকে বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সম্পদ বিবরণীর হিসাব নেওয়া খুবই জরুরি। এ জন্য করে বিধি বিধান করা প্রয়োজন। এটা হলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে বেশি দায়িত্ব পালন করবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর