ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় ছাত্রী অপহরণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১৬৩ বার

বিজয় দাস নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণ মামলায় সুমন মিয়া(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানা পুলিশ। ভুক্তভোগি যুবতীর বাবা গতকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে সুমন মিয়াকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করলে এই দিন তাকে নিজ বাড়ী থেকে আটক করে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে সুমন মিয়াকে নেত্রকোনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। একইসাথে স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমন মিয়া উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর স্কুল ছাত্রীটি তার মায়ের সাথে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে ওৎপেতে থাকা সুমন মিয়া মুখ চেপে ধরে মায়ের সামনেই তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বাবা রাতের অন্ধকারে খোঁজাখুজি করলেও কিশোরীকে কোথাও পায়নি। পড়ে ওই স্কুল  ছাত্রীর বাবা ২২ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় মাতব্বররা একাধিক সালিশ বৈঠক করে ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। তবে বিষয়টি বাবা না মেনে ০২ নভেম্বর সুমন মিয়াকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে সুমন মিয়া রাতে মায়ের সামনেই মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। আমি ২২ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তবে এলাকার মাতব্বররা মিমাংসা করেছিল। আমি তা মেনে নেই নি। আমার মেয়ের যে সর্বনাশ হয়েছে তা আমি কোনদিন ফিরে পাব না। এসময় আইনী প্রক্রিয়ায় আসামীর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণের আগে সে আরও একটি মেয়ে বিয়ে করবে বলে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এর আগে সে আরও বিয়ে করেছে।

নেত্রকোনার মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। আসামীকে বুধবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নেত্রকোনায় ছাত্রী অপহরণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১২:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

বিজয় দাস নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণ মামলায় সুমন মিয়া(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানা পুলিশ। ভুক্তভোগি যুবতীর বাবা গতকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে সুমন মিয়াকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করলে এই দিন তাকে নিজ বাড়ী থেকে আটক করে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে সুমন মিয়াকে নেত্রকোনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। একইসাথে স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমন মিয়া উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর স্কুল ছাত্রীটি তার মায়ের সাথে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে ওৎপেতে থাকা সুমন মিয়া মুখ চেপে ধরে মায়ের সামনেই তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বাবা রাতের অন্ধকারে খোঁজাখুজি করলেও কিশোরীকে কোথাও পায়নি। পড়ে ওই স্কুল  ছাত্রীর বাবা ২২ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় মাতব্বররা একাধিক সালিশ বৈঠক করে ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। তবে বিষয়টি বাবা না মেনে ০২ নভেম্বর সুমন মিয়াকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে সুমন মিয়া রাতে মায়ের সামনেই মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। আমি ২২ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তবে এলাকার মাতব্বররা মিমাংসা করেছিল। আমি তা মেনে নেই নি। আমার মেয়ের যে সর্বনাশ হয়েছে তা আমি কোনদিন ফিরে পাব না। এসময় আইনী প্রক্রিয়ায় আসামীর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণের আগে সে আরও একটি মেয়ে বিয়ে করবে বলে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এর আগে সে আরও বিয়ে করেছে।

নেত্রকোনার মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। আসামীকে বুধবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।