ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে গ্রেফতার সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পালাতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালত সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার জানান, সোহেল রানা আটক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছুই জানেন না তারা।

তবে আজ রোববার ডিএমপি কমিশনারের যোগাযোগ করা হলেন তিনি  বলেন, সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না। কারণ ওখানে মামলা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনার চেষ্টা করা হবে। দেশে ফিরিয়ে আনার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি। বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বোন ও ভগ্নিপতি চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগে সোহেল রানার বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

পুলিশও বলেছে, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলার পর এই তিনজনই এখন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক।

মামলার বাদী বলছেন, বীথি আক্তার সোহেল রানার স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন। যদিও সোহেল রানা তা অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ বলছে, বীথি আক্তারকে নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, তা তদন্ত করে নিশ্চিত হবে তারা।

এক লাখ গ্রাহকের ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তাহেরুল ইসলাম বাদী হয়েছেন।

ই–অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন গ্রাহকেরা। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই–অরেঞ্জ কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্যও দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে গ্রেফতার সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

আপডেট টাইম : ০২:০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পালাতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালত সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার জানান, সোহেল রানা আটক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছুই জানেন না তারা।

তবে আজ রোববার ডিএমপি কমিশনারের যোগাযোগ করা হলেন তিনি  বলেন, সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না। কারণ ওখানে মামলা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনার চেষ্টা করা হবে। দেশে ফিরিয়ে আনার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি। বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বোন ও ভগ্নিপতি চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগে সোহেল রানার বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

পুলিশও বলেছে, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলার পর এই তিনজনই এখন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক।

মামলার বাদী বলছেন, বীথি আক্তার সোহেল রানার স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন। যদিও সোহেল রানা তা অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ বলছে, বীথি আক্তারকে নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, তা তদন্ত করে নিশ্চিত হবে তারা।

এক লাখ গ্রাহকের ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তাহেরুল ইসলাম বাদী হয়েছেন।

ই–অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন গ্রাহকেরা। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই–অরেঞ্জ কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্যও দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা।