হিথ স্ট্রিকের কলঙ্কিত ঘটনায় হতাশ বিসিবি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে সব ধরনের ক্রিকেটে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক।

 আইসিসির এন্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি ধারায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর নিজের সব অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই সাবেক পেসার।

হিথ স্ট্রিকের অসীম দুর্নীতির বিষয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)? সে প্রশ্ন এসেই যায়।

কারণ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একসময় হিট স্ট্রিকের বেশ সুসম্পর্ক ছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টাইগারদের বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে বিসিবির সব কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের কাছে মানুষ ছিলেন তিনি। আর এই মানুষটি এমন কলঙ্কে জড়িয়েছেন!

এ বিষয়ে বিসিবি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিট স্ট্রিকের পাহাড়সম দুনীর্তির ঘটনায় বিসিবি বিব্রত নয়। তবে হতাশ হয়েছে।

বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মতো একজন বড়মাপের ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব এমন ঘৃণিত ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে হতে পারেন, এটা অপ্রত্যাশিত। বেশ হতাশার ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে তার চুক্তি তো শেষ হয়েছে আরও ৪-৫ বছর আগে। কাজেই এটা নিয়ে বিসিবির তেমন মাথাব্যথা নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। তিনি তো আমাদের ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়েও খেলেছেন। তার কাছ থেকে এমন জঘন্য কাণ্ড – সত্যি আমরা হতাশ। ’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচের পাঁচ অপধারের বিষয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলংকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ, একই বছরের জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, আইপিএল এবং আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের তথ্য বাইরে পাচার করেছেন তিনি।

এছাড়া আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিটিকে জুয়ারির প্রস্তাবের বিষয়ে না জানানো,  তদন্ত কাজে অসহযোগিতা এবং জুয়ারির কাছ থেকে উপঢৌকনের বিনিময়ে তথ্য দিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের বিপিএল, ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগ, ২০১৮ সালের আইপিএল এবং এপিএলে জুয়ারির এসব প্রস্তাব পেয়েও গোপন অথবা তাদের সহযোগিতা করেন স্ট্রিক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর