আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার ফয়জুল্লাহ গ্রেফতার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ এফ এম ফয়জুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাইরে নিজেকে ফয়জুল্লাহ দাবি শেষে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ এফ এম ফয়জুল্লাহ এতদিন পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গফরগাঁও পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহবাগ থানাকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হলে গ্রেফতার করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি নিজেও মামলার সব আসামিকে সঠিকভাবে চিনি না।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের তিন আসামিকে আমৃত্যু ও পাঁচ আসামিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে একজনকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এএফএম ফয়জুল্লাহ (পলাতক), আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে (পলাতক) আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০ বছর করে মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) এবং সিরাজুল ইসলাম তোতাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন আবদুল লতিফ।

এই রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া এ এফ এম ফয়জুল্লাহকে পলাতক দেখানো হয়। তার নামের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে আসা আসামির নামের মিল রয়েছে। তবে তিনিই সেই ব্যক্তি কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি প্রসিকিউশন। কিন্তু আজ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফয়জুল্লাহকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর