হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুসলিম নারী সেনা সদস্যদের হিজাব পরিধানের অনুমোদন দিয়ে পোশাকনীতিতে পরিবর্তন এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনী। এর মাধ্যমে হিজাব পরিধানের অধিকার আদায়ে তিন বছর ধরে আইনি লড়াই করা সেনা কর্মকর্তা মেজর ফাতেমা আইজেকের বিজয় হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত মেজর ফাতেমা আইজেক হিজাবকে ইউনিফর্মের অন্তর্ভুক্ত করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু তাঁর বিজয় নয়, বরং ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নীরবে সয়ে যাওয়া সবার বিজয়।’
ফাতেমা আরো বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। ধর্মীয় বিষয়ে এখানে কোনো বৈষম্য থাকা উচিত নয়। আমি মনে করি, নৈতিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হলো ধর্ম। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়।’
২০১৮ সালের জুন মাসে দায়িত্ব পালনকালে ইউনিফর্মের সঙ্গে মাথায় স্কার্ফ পরলে আইজেকের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে পোশাকনীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত ফাতেমা আইজেকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাঁকে কালো রঙের হিজাব পরিধানের অনুমোদন দেন।
কিন্তু সেনাবাহিনী নিজেদের পোশাকনীতিতে পরিবর্তন না আনায় ধর্মীয় পোশাকের অধিকার আদায়ে ফাতেমা আইজেক দক্ষিণ আফ্রিকার সমতাভিত্তিক আদালতের শরণাপন্ন হন।
অবশেষে দীর্ঘ এক বছর আইনটি নিয়ে পর্যালোচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী (এসএএনডিএফ) অবশেষে গত সপ্তাহে মুসলিম সেনা সদস্যদের হিজাব পরিধানের অনুমোদন দেয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মাফি এমগোবোজি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী (এসএএনডিএফ) মুসলিম নারী সেনা সদস্যদের হিজাব পরিধানের অনুমোদন দিয়ে পোশাক বিধিমালায় পরিবর্তন এনেছে।’
ফাতেমা আইজেককে আইনি সহায়তা দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার (এলআরসি) এমন সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানায়।
সূত্র : বিবিসি।