হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত থেকে ভ্যাকসিন রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই এবং প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার এ কথা জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ মন্ত্রণালয়— কেউই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেনি। আমরা বারবার বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমাদের ভ্যাকসিন মানবতার জন্য ব্যবহৃত হবে, আমাদের অগ্রাধিকার-ভারত, আমাদের নিজের লোকেরা। এছাড়া স্পষ্টতই আমাদের প্রতিবেশী লোকেরা অগ্রাধিকার পাবে। এর বাইরে আর কী আশ্বাস আমরা দিতে পারি?
দোরাইস্বামী আরো বলেন, একাধিক সংস্থা ভ্যাকসিন উত্পাদন করছে এবং ভ্যাকসিন উত্পাদন প্রক্রিয়াটি এখনই শুরু হয়েছে। জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্তু হাজার ডোজ বিতরণের জন্য প্রস্তুত- এমন বলা যাবে না। এটি একটি সংবেদনশীল পণ্য, স্টক তো রাখা যাবে না। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রফতানির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়নি। সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, টিকা তৈরি করে ভারত সরকারকে দেবে এবং তাদের উত্পাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কাজে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, এমন প্রক্রিয়া থাকবে যা আমরা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত লোকদের চিহ্নিত করব, আপনি অগ্রাধিকারের লোকদের শনাক্ত করবেন। প্রত্যেকেই যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন চায়। কখন আসবে বা আমরা আমাদের দেশে পাব তা আমি বলতে পারি না।
দোরাইস্বামী আরো বলেন, ভারত সরকার যাদের ভ্যাকসিন দিতে অঙ্গীকার করেছে তারা সবাই পাবে। প্রথম পর্যায়ে ভারতে কারা ভ্যাকসিন পাবে তা আমরা আর বাংলাদেশে কারা পাবে তা আপনারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঠিক করবেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভারত আমাদের অনেক ভালো প্রতিবেশী। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক একটা ডিফারেন্ট হাইটে চলে গেছে। সবসময় আমরা একে অপরের সহযোগিতা করতে পারি, সেটা করছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজটালাইজেশন নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের রিফর্মগুলো জানতে চেয়েছেন। ভারত অনেক আগে এ ধরনের রিফর্মে হাত দিয়েছে। ডিজটালাইজেশনের মডেল আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারের এলাকা বেঙ্গোলোরে দেখেছি। কীভাবে আরো সহযোগিতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।