রোববার বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোববার (২৯ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের (ভার্চ্যুয়ালি) মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে এটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পটি দু’টি ভাগে বাস্তবায়ন হবে। একটি টাঙ্গাইল অঞ্চলে এবং অপরটি পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ উন্নত করতে যমুনা নদীর উপরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশেই নির্মিত হচ্ছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ রেলসেতু।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর কয়েকশ’ গজ উত্তরে নতুন সেতুটি নির্মাণ হবে।  ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত প্রকল্পে সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

যদিও ডাবল লাইন হওয়ায় সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার বিবেচনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা থাকলেও তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাইকা দিচ্ছে। বাকিটা অর্থায়ন করছে সরকার। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র মতে, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে। সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় সেতু পার হতে সিগন্যালে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়। ওজন সীমাবদ্ধতার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারে না। এ সেতুতে ট্রেনও পূর্ণ গতিতে চলতে পারে না। ঈদের সময় সূচির বিপর্যয়ে পড়ে ট্রেন। নতুন ডাবল লাইন সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। রাজধানীর সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান বলেন, এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আসতেও শুরু করেছেন। মূল সেতুটি দু’টি প্যাকেজের আওতায় বানানো হবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়িত হলে চীন, মিয়ানমার, ভারত, ভুটান, নেপালসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের অবকাঠামোর ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হবে।
এ সেতুর ওপর দিয়ে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার গতিতে দু’টি ট্রেন পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে। দ্রুত গতিতে রেল যোগাযোগ সম্পন্ন হলে দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর