রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কারা সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“কারা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রত্যাশা নিয়ে ‘কারা সপ্তাহ ২০১৬’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বন্দিদের কারাবাসকালীন প্রশিক্ষণের অগ্রগতি অনুধাবনের জন্য বন্দিশ্রমে উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন প্রশংসনীয়। অগ্রগতির চলমান প্রবাহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমসাময়িক আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে কারাঅন্তরীণ মানবসম্পদের উপযোগিতা নিশ্চিত করতে কারাকর্তৃপক্ষ ও কারাবন্দিদের সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত অপরিহার্য।
বন্দিদের কৃতঅপরাধের জন্য অনুশোচনাবোধে উদ্দীপ্তকরণ এবং প্রতিদিনের কর্মসূচিতে সংশোধনমূলক চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের প্রক্রিয়া আরোপের মাধ্যমে বন্দি-মানসে অপরাধপ্রবণতার প্রভাব কমিয়ে আনাই আধুনিক কারাব্যবস্থাপনার মূললক্ষ্য। কারাবাসশেষে জীবিকার জন্য কারা প্রশিক্ষণকাজে লাগানোর সুযোগ থাকলে বন্দিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আকৃষ্ট হবে। কারাঅভ্যন্তরে বন্দিদের বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকা-ে ব্যস্ত রাখা গেলে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে এবং সংশোধনপ্রক্রিয়া আরো বেশি কার্যকর হবে।
কোন মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিই মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তোলে। তাই কারাবন্দিদের মানসপট থেকে অপরাধপ্রবণতা কমাতে সংশোধনমূলক কর্মকা-ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারাসংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। অদূর ভবিষ্যতে কারাকর্তৃপক্ষের আন্তরিক কর্মনিষ্ঠা যাবতীয় প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে দেশের কারাব্যবস্থাপনাকে কাক্সিক্ষত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশা করি।
আমি ‘কারা সপ্তাহ ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”