হাওর বার্তা ডেস্কঃ অ্যাপলের নতুন চার আইফোনেই ফাইভ ন্যানোমিটার চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এত উন্নতমানের প্রসেসর ব্যবহার করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
আইফোন ১২ লাইন-আপের সবকটি ফোনেই ফাইভ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির এ১৪ বায়োনিক প্রসেসর ব্যবহৃত হচ্ছে। ফাইভ ন্যানোমিটার বলতে প্রসেসরে যেসব ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো কেবল পাঁচ ন্যানোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। ক্ষুদ্রতার দিক থেকে চিন্তা করলে যা ২৫টির অনুর সমান।
স্মার্টফোনের সক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে ফাইভ ন্যানোমিটার চিপসেট। এর মাধ্যমে ফোরকে ভিডিও ফোনেই এডিট করা সম্ভব হবে। এছাড়া দূরবর্তী ইন্টারনেট সার্ভার ব্যবহার ব্যবহার ছাড়াই জটিল ক্যালকুলেশন করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে ফোনের প্রসেসরে যেসব ট্রানজিস্টার ব্যবহার হচ্ছে তা সেভেন ন্যানোমিটার দৈর্ঘ বিশিষ্ট। এসব চিপ স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ছাড়াই ফেইস রিকগনিশান, বয়স নির্ণয়ের মতো মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমগুলো চালাতে সক্ষম। ফাইভ ন্যানোমিটার চিপ এই সক্ষমতার দিগন্তকে আরো প্রশারিত করবে। ফাইভ ন্যানোমিটারের চিপগুলোতে বিদ্যুৎ খরচও কম।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে স্যামসাংও তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে ফাইভ ন্যানোমিটারের প্রসেসর ব্যবহার করবে শোনা যাচ্ছে। আইফোনের দেখাদেখি ২০২১ সালে স্মার্টফোন আরো স্মার্ট হয়ে উঠবে।