রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উন্নত দেশের সাথে শান্তিরক্ষায় এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের কৌশলে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আইটি বৈপ্লবিক প্রসারের কারণে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত দেশের সাথে সেনাবাহিনীকে শাান্তিরক্ষায় এগিয়ে যেতে প্রশিক্ষণের কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে।
রাষ্ট্রপতি রাজবাড়ী জেলার কালুখালি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন মহড়ায় ভাষণে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রশিক্ষণে একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং একজন সৈনিক কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার শিখরে পৌঁছতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পর্যায়ক্রমে উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সময়োপযোগী, সুশৃংখল এবং আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকলের সহযোগিতায় একটি সবচেয়ে ভালো পেশাদার, গতিশীল এবং দক্ষ বাহিনী হবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ মহড়া অনুষ্ঠানে তাঁর আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই শীতকালীন মহড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, আমি এই ধরনের মহড়া দেখে সত্যি অভিভূত। তিনি বলেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর উত্তরাধিকারী।
রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সেনা সদস্যদের অবদান উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশ সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে স্বাধীনতাপ্রেমী জনগণের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের অনেকেই শহীদ হন। আমার বিশ্বাস, তাদের আত্মত্যাগ দেশ রক্ষায় আপনাদের উদ্বুদ্ধ করবে।
রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়নে এই ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি মহড়ায় আনসার, ভিডিপি ও এনসিসি’র সদস্যদের সম্পৃক্ত করায় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, এই পদক্ষেপ মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশলে একটি নতুন ডাইমেনশন যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, তিন বাহিনী প্রধান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলভ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি স্থানীয় দরিদ্র লোকদের মধ্যে শীতকালীন পোশাক বিতরণ করেন।