রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি কাজ করার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ১২তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং অচিরেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। দেশের জন্য এখন প্রয়োজন একটি নতুন প্রজন্ম, তারাই দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির শিখরে নিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি ক্যাডেট কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জনগণের কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের নিয়োজিত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ নতুন প্রজন্মের দিকে এই আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে যে, তারা দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘সীমিত সম্পদ ও সক্ষমতা সত্ত্বেও দেশ ও সমাজ আপনাদের জন্য ভালো ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যাপক অবদান রেখেছে এজন্য যে, আপনারা দেশের কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত রাখতে সক্ষম হবেন। এতে তাদের অবদান সফলতা লাভ করবে।’
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। সমাজ যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগিয়ে তারা দেশকে এগিয়ে নেবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সরকার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্পদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও দেশে ১৩টি ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা করছে। প্রাক্তন ক্যাডেটরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে ক্যাডেট কলেজের শৃঙ্খলাবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
দেশে ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য ঝিনাইদহ ক্যাডেট করেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই ক্যাডেট কলেজ ইতোমধ্যে গৌরবময় ৫২টি বছর অতিক্রান্ত করেছে।
রাষ্ট্রপতি ঝিনাইদহ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশনের কল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দুর্যোগকালে জনগণকে সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং ঢাকা ও খুলনায় দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে লোকজনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান খুবই প্রশংসনীয় কাজ।
ঝিনাইদহ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস কে মারুফ হাসান ও ঝিনাইদহ ক্যাডেট করেজের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. সাদিকুল বারী অনুষ্ঠান বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রপতি কলেজ ক্যাম্পাসে একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন।